শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে রাজশাহীতে সরকার দলীয় শীর্ষ তিন নেতার দ্বন্দ্ব
- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে রাজশাহীতে সরকার দলীয় শীর্ষ তিন নেতার দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে আদালতে। সমস্যা নিরসনে আইনী লড়াইয়ের পথেই হাঁটেছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী আখ্যা দিয়ে এরইমধ্যে তাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে আওয়ামী লীগ। সিটি মেয়র, এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের এই স্নায়ুযুদ্ধ এখন টক অব দ্য সিটি।
নৌকার টিকিটে রাজশাহী সদর আসনে তিনবারের এমপি ওয়ার্কাসপার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। আর নৌকার বিদ্রোহী হলেও জেলা পরিষদের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার। তারা দুজনেই দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক পার্টনার হলেও সেই সম্পর্ক এখন সাপে নেউলে।
গেল ১৬ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা পরিষদের জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও ফজলে হোসেন বাদশা। ওইদিন রাতেই তিনটি ভবন ভেঙে ফেলা হয়। তবে শহীদ মিনার নির্মাণে জমি না দেয়ার অভিযোগ ছিল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। পরে সরকারী সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে থানায় জিডি ও জায়গা নিষ্কণ্টক না করেই শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে তিনি। তার এমন কাণ্ডে সংক্ষুব্ধ হয়ে দল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করে মহানগর আওয়ামী লীগ।
তবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অভিযোগ, আইনী পথে না গিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন সিটি মেয়র ও এমপি।
রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। যদিও স্থান জটিলতায় সে কাজ এখন আটকে গেছে।





















