শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সব শ্রেণী পেশার মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছেন একাত্তরের বীর শহীদ বুদ্ধিজীবিরা
- আপডেট সময় : ০১:৩১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৬০২ বার পড়া হয়েছে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সব শ্রেণী পেশার মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছেন একাত্তরের বীর শহীদ বুদ্ধিজীবিরা। শ্রদ্ধা জানাবার এই আনুষ্ঠানিকতায় বড়দের সঙ্গে ছিল ছোটরাও। করোনা আর শীত উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের ঢল নাম শহীদ মিনারে। এসময় সচেতন নাগরিক ও রাজনীতিবিদরা বলেন, ডিসেম্বর এলেই দেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে সাম্প্রদায়িক শক্তি, তবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়েই অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে।
ডিসেম্বর ১৯৭১। মুক্তিযোদ্ধাদের দু:সাহসিক রণকৌশলে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে হানাদার পাকিস্তানীরা। আপস ….
দিশেহারা হয়েই শুরু জাতিকে মেধাশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র। একে একে দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তানী সেনারা। শুরু হয় নির্মম হত্যাযজ্ঞ। মাথা উঁচু করেই, না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জাতির সূর্য সন্তান, বুদ্ধিজীবিরা।
বিজয়ের সেই কালো অধ্যায়ের বীর শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, দেড় বছরের সন্তান জুনহাইকে নিয়ে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আসেন তার পিতা তাজুল ইসলাম। অব্যক্ত চোখে ছোট্ট শিশু তাকিয়ে দেখে যাদের কারণে স্বাধীনতা আজো কিভাবে তাদের মনে রেখেছে উত্তরসূরীরা।
জুনহাইর মত শিমু, ঈশান, বাবুও সেখানে যায় তাদের বাবা মাকে সঙ্গে করে। শীত উপেক্ষা করে ছোট্ট শিশুদের এই নিয়ে আসার কারণও ব্যাখ্যা করেন অভিবাবকরা।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনার কবরস্থানে ছিল সব শ্রেনী পেশার মানুষের উপচে পড়া ভীড়। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে আসে পাশের এলাকা। রাজনীতি বিদ থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সবার পদচারণা মুখরিত হয় বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের স্মৃতি সৌধ।
একসময় ফুলে ফুলে ভরে উঠে শহীদ বেদী। একাত্তরের বীর শহীদের প্রতি মূর্ত হয় এ প্রজন্মের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা।



















