শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি জয়পুরহাটের অনেকেই
- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি জয়পুরহাটের অনেকেই। দিবস-এলে জাতীয়, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোথাও নেই তাঁদের নাম বা পরিচয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, সংগঠক এবং বুদ্ধিজীবি হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তাদেঁর মেলেনি কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। এতে ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাসহ জয়পুরহাটের নানা শ্রেণীপেশার মানুষ। অন্যদিকে শহীদদের সুনির্দিষ্ট তালিকা না থাকার কথা স্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসন বললেন, সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।
জেলায় সর্বজন স্বীকৃত শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দান। ১৯৭১ সালে ২৬ জুলাই মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বুদ্ধিজীবি শহীদ ডাঃ আবুল কাশেমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকাররা। পরে জয়পুরহাট শহরের দেবীপুর এলাকার কুঠিবাড়িতে হাত-পা বেঁধে, চোখ, নখ তুলে নির্মম নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে তাকে। একইভাবে সদর উপজেলার দোগাছীর ইয়াকুব আলী মন্ডলকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শেখ মুজিবের দল করার কারণে পাকসেনারা তাদের জীপের পেছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রায় ১৭ কি.মি ছেঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে ভারত সীমান্ত এলাকায় পাগলা দেওয়ানে বন্দুকের বেয়নেটের খোঁচায় খোঁচায় মৃত্যু নিশ্চিত করে তার।খনজনপুর মিশনের সাইকেল মেকার অমর সরকার বুড়ো, নিজে লোহার কামান তৈরি করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই কামানটি জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ থাকলেও মেলেনি তাঁর কোন স্বীকৃতি। এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদের অনেক পরিবার। এমন কি শহীদদের কবরগুলোও রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির আবেদন করলেও তা না পাওয়ার অভিযোগ অনেক শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের।
এদিকে, উপজেলা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররাও চান তাঁদের স্বীকৃতি।
রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন নির্দেশনা পেলেই, স্থানীয়ভাবে সেটা বাস্তবায়ন করার কথা জানালেন উপজেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাদের পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা ও নানা শ্রেনীপেশার মানুষ।























