লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম

- আপডেট সময় : ০৮:০৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
- / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ১১ জনই মাদারীপুরের। পরিবারের অভাব অনটন দূর করতে অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলো তারা। কিন্তু মানবপাচারকারী চক্রের হাতে শেষ হয়ে গেলো সে স্বপ্ন। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তান হারিয়ে এখন পাগল প্রায় বাবা-মা। একই অবস্থা যশোর ও গোপালগঞ্জে নিহতদের পরিবারে।
নিঁখোজের দুই দিন আগে এভাবেই নির্মম নির্যাতনের করুণ আকুতি জানিয়েছিলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়ার মনির আকন। তার কথা শুনে, পরিবারও দালালদের দাবী করা ৭ লাখ টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছিলো। কিন্তু তার আগেই লিবিয়ার মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে নিঁখোজ হয় সে । বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের নেমে আসে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার স্বজনরা। পরিবারের দাবী, স্থানীয় দালাল নূর হোসেনের মাধ্যমে পাঁচ মাস আগে ইতালি যাওয়ার কথা বলে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছিল পাচারকারীরা ।
শুধু মনির আকনই নয়, লিবিয়ায় পাচারকারীদের গুলিতে মাদারীপুরেরই ১১ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
একই পরিণতি হয়েছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার খাটবাড়িয়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম। নতুন জীবনের স্বপ্ন নিয়ে চার মাস আগে বাড়ি ছেড়েছিলো সে। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হলেও লিবিয়ায় রাকিবুল নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এখন তাঁদের বাড়িতে শোকের মাতম।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের কৃষক কাবুল মৃধার ছেলে সুজন মৃধা। পরিবারের অভাব মেটাতে দালালকে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে গত চার মাস আগে লিবিয়ায় যায় সে। পাচারকারীরা সুজনের কাছে আরো ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। নিহত ও আহতদের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়ার পশাপাশি দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক। এভাবে যেন আর কাউকে হারাতে না হয় সেজন্য দালাল চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার দাবি নিহতদের স্বজনদের।