১০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

লালন সাঁইয়ের জন্মভিটায় নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন, হারিয়ে যাচ্ছে মরমী সাধকের ঐতিহ্য

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে

বাউল সমাট লালন সাঁইর ১৩৩ তম তিরোধান দিবস

এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মরমী সাধক লালন সাঁইয়ের শৈশব কেটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে। সেখানেই তিনি তার আধ্যাত্মিক গুরু সিরাজ সাঁইয়ের কাছে দীক্ষা লাভ করেন। হরিশপুর গ্রামে লালন সাঁইয়ের কোনো বংশধর এখন আর নেই। বংশীয় বসতভিটাও বিক্রি হয়েছে কয়েকবার। একটি মাত্র স্মারক দেয়ালিকা ছাড়া লালনের জন্মভিটায় নেই আর কোনো স্মৃতিচিহ্ন।

নিভৃত অজপাড়া গাঁ হরিশপুর গ্রাম। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামেই জন্মেছিলেন মরমী সাধক লালন সাঁই। তার শৈশবও কেটেছে এই হরিশপুরে। এই পথে কোনো এককালে চলেছেন,গুনগুনিয়ে গান গেয়েছেন তিনি ।

যেই ভিটায় একসময় ছিল লালনের ঘর,আজ সেখানে আছে কেবল একটি দেয়ালিকা। সামান্য একটি দেয়ালিকা ছাড়া লালনের বসতভিটায় আর কোনো চিহ্ন বা স্থাপনাও নেই। স্থানীয়দের দাবি,লালনের বংশধর আর কেউ বেঁচে নেই। বিক্রি হয়ে গেছে লালনের বংশীয় জায়গা জমি। তবে লালনের আধ্যাত্মিক গুরু সিরাজ সাঁই ও শিষ্য পাঞ্জু শাহ ও দুদ্দু শাহের বসতভিটা ও বংশধর আজও রয়েছে হরিশপুর গ্রামে।

হরিশপুর গ্রামে লালন স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগে লালন একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ের সামনের জায়গা লালনের গুরু সিরাজ সাঁইয়ের বসতভিটা। এখন সেখানে সিরাজ সাঁই ও তার স্ত্রীর সমাধি রয়েছে। পাশেই লালন একাডেমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের বারান্দার সামনে রয়েছে লালনের এক শিষ্যের সমাধি । এছাড়া এই গ্রামেই রয়েছে মরমী সাধক লালনের আধ্যাত্মিক শিষ্য পাঞ্জু সাঁইয়ের সমাধি। যেখানে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সে রয়েছে পাঞ্জু শাহ ও তার দুই স্ত্রীর কবর। এসব রক্ষণাবেক্ষণ ও লালন সংগীত চর্চার উদ্যোগ কমে যাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

এবছর লালন সাঁই এর তীরোধান দিবস পালিত হচ্ছে জেলায়।এ উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কর্মসূচি।

বাংলা পঞ্জিকার হিসেবে প্রতি বছর কার্তিক মাসের ২ তারিখ লালনের তীরোধান দিবস পালিত হয়। হরিশপুরেও আয়োজন করা হয় স্মরণোৎসব ও সংগীতানুষ্ঠান।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লালন সাঁইয়ের জন্মভিটায় নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন, হারিয়ে যাচ্ছে মরমী সাধকের ঐতিহ্য

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মরমী সাধক লালন সাঁইয়ের শৈশব কেটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে। সেখানেই তিনি তার আধ্যাত্মিক গুরু সিরাজ সাঁইয়ের কাছে দীক্ষা লাভ করেন। হরিশপুর গ্রামে লালন সাঁইয়ের কোনো বংশধর এখন আর নেই। বংশীয় বসতভিটাও বিক্রি হয়েছে কয়েকবার। একটি মাত্র স্মারক দেয়ালিকা ছাড়া লালনের জন্মভিটায় নেই আর কোনো স্মৃতিচিহ্ন।

নিভৃত অজপাড়া গাঁ হরিশপুর গ্রাম। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামেই জন্মেছিলেন মরমী সাধক লালন সাঁই। তার শৈশবও কেটেছে এই হরিশপুরে। এই পথে কোনো এককালে চলেছেন,গুনগুনিয়ে গান গেয়েছেন তিনি ।

যেই ভিটায় একসময় ছিল লালনের ঘর,আজ সেখানে আছে কেবল একটি দেয়ালিকা। সামান্য একটি দেয়ালিকা ছাড়া লালনের বসতভিটায় আর কোনো চিহ্ন বা স্থাপনাও নেই। স্থানীয়দের দাবি,লালনের বংশধর আর কেউ বেঁচে নেই। বিক্রি হয়ে গেছে লালনের বংশীয় জায়গা জমি। তবে লালনের আধ্যাত্মিক গুরু সিরাজ সাঁই ও শিষ্য পাঞ্জু শাহ ও দুদ্দু শাহের বসতভিটা ও বংশধর আজও রয়েছে হরিশপুর গ্রামে।

হরিশপুর গ্রামে লালন স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগে লালন একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ের সামনের জায়গা লালনের গুরু সিরাজ সাঁইয়ের বসতভিটা। এখন সেখানে সিরাজ সাঁই ও তার স্ত্রীর সমাধি রয়েছে। পাশেই লালন একাডেমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের বারান্দার সামনে রয়েছে লালনের এক শিষ্যের সমাধি । এছাড়া এই গ্রামেই রয়েছে মরমী সাধক লালনের আধ্যাত্মিক শিষ্য পাঞ্জু সাঁইয়ের সমাধি। যেখানে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সে রয়েছে পাঞ্জু শাহ ও তার দুই স্ত্রীর কবর। এসব রক্ষণাবেক্ষণ ও লালন সংগীত চর্চার উদ্যোগ কমে যাওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

এবছর লালন সাঁই এর তীরোধান দিবস পালিত হচ্ছে জেলায়।এ উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কর্মসূচি।

বাংলা পঞ্জিকার হিসেবে প্রতি বছর কার্তিক মাসের ২ তারিখ লালনের তীরোধান দিবস পালিত হয়। হরিশপুরেও আয়োজন করা হয় স্মরণোৎসব ও সংগীতানুষ্ঠান।