রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে কেন্দ্র করে নানা ছলচাতুরী

- আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
- / ১৬৭৯ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর পূর্তি হলো আজ। এই পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের উপর ভয়াবহ নির্যাতনের পর প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এখন নিজ দেশে ফিরতে রোহিঙ্গাদের দেয়া হচ্ছে নানা শর্ত। আর মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতার কারণে এতদিন ধরে ঝুলে আছে বহুল কাংখিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
ভেলায় চড়ে নাফ নদীর সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। গন্তব্য বাংলাদেশ। এরপর উখিয়া ও টেকনাফে পর্যায়ক্রমে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মিয়ানমার নাগরিক। এছাড়া আগে থেকে বসবাসকারী ৫ লাখসহ ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার ঠাঁই এখন কক্সবাজারে।
খাদ্য সহায়তা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট হলেও প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি নিয়ে জাতিসংঘের ভূমিকায় খুশি নন রোহিঙ্গারা।
সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরও খুন, ধর্ষন, চুরি, ডাকাতি, মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালানসহ রাষ্ট্র বিরোধি নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এসব রোহিঙ্গা। ফলে অতিষ্ট হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
উখিয়া এবং টেকনাফে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের কারণে ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। সবুজ পাহাড় কেটে ধংস করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সরকার কাজ করছে জানিয়ে কিছুটা বিলম্ব হলেও তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে বললেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
শিক্ষা, চিকিৎসা, নাগরিকত্ব, জাতিগত পরিচয়, জায়গা জমি ও গণহত্যার বিচার পেলে মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি রোহিঙ্গারা।