রাতারগুলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো পর্যটকবান্ধব নয়

- আপডেট সময় : ০৩:৩২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
- / ১৫৬৯ বার পড়া হয়েছে
দেশের পর্যটকদের কাছে বাংলার অ্যামাজন হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে সিলেটের রাতারগুল। পৃথিবীর ২২টি স্বাদুপানির জলাবনের মধ্যে এটি অন্যতম। বিশেষ করে, বর্ষায় পানিতে ভরে থাকায় অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে ওঠে রাতারগুল। সে সময় পর্যটকদের ঢল নামে। এই রাতারগুলকেই ঘিরে বাড়তি আয়ের জন্য নানা পেশায় জড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পর্যটকদের আনাগোনাতেই চলে তাদের জীবন জীবিকা।
শান্তজল আর সবুজ বনের মিতালি রাতারগুলকে দিয়েছে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের পূর্ণতা। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে নদী ও হাওড়ঘেরা ৫০৪ একর আয়তনের এ জলাবনের হিজল-করচ-বরুণগাছের পাশাপাশি বেত, ইকরা, খাগড়া, মুর্তা গাছ রাতারগুলের অনন্য আর্কষণ। বনে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সঙ্গে রয়েছে ২৩০ প্রজাতির প্রাণি। রাতারগুলের এই আঁকাবাঁকা নদীতে ডিঙি নৌকায় পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়ান মাঝি লায়েক আহমেদ। ছোটভাইয়ের পড়ালেখার খরচ জোগাতে কৃষি কাজের ফাঁকে গেল ১১বছর ধরে তিনি নৌকার হাল ধরেছেন।
লায়েক কিংবা রুবেলের মতো কয়েকশ’ মানুষ নানা পেশা বেছে নিয়েছেন রাতারগুলকে ঘিরে। অনেকেই ক্যামেরা কিনে হয়েছেন সৌখিন ফটোগ্রাফার, আবার কেউ পোড়া বাঁশের বাঁশিতে সুর তুলে মাতিয়ে রাখেন পর্যটকদের মন। তবে শুষ্ক মওসুমে পানি কমে আসায় এর সৌন্দর্যে ভাটা পড়ে খানিকটা। তখন আয়ও কমে আসে।এদিকে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকরা বলছেন, বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পের প্রসারে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার এই রাতারগুলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো পর্যটকবান্ধব নয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সাল থেকে পর্যটকদের সমাগম বাড়ায় অনেকটা হারিয়ে যায় শামুকখোল পাখির ঝাঁক। তবে গেল বছর থেকে রাতারগুলে আবারো ফিরেছে তারা। এতে যেন আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে রাতারগুল।