রাজশাহীর জুলাই শহীদ দুই পরিবারে কান্না থামেনি

- আপডেট সময় : ০২:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে এখনো সন্তান হারানোর বেদনায় কাঁদছেন দুই শহীদ পরিবার। আর সুচিকিৎসা না পেয়ে আহতদের অনেকেই এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন জুলাই-অগাস্টের দুঃসহ স্মৃতি। তাদের অনেকের প্রশ্ন, ন্যায়বিচারের সেই শেষ গন্তব্য কোথায়?
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মঙ্গলপাড়া গ্রামের আলী রায়হান। রায়হান নগরীর রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী।প্রতিদিনের মতোই তিনি ছিলেন আন্দোলনের প্রথম সারিতে। কিন্তু ৫ আগস্ট সাগরপাড়া কল্পনার মোড়ে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে ৮ আগস্ট রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আদরের সন্তান চলে যাওয়ায় এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবারটি।
পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের গুলি থেকে বাঁচতে সাকিব আঞ্জুম আশ্রয় নেয় সেকেরচক এলাকার একটি বাড়িটিতে। সেখানেই তাকে গুলি ও কুপিয় হত্যা করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সন্তান হারানো বেদনা বুকে নিয়ে তার পরিবারের এখন একটাই চাওয়া ফ্যাসিবাদিদের বিচার।
এদিকে, রায়হানের পরিবাবের সাথে দেখা করতে গিয়ে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, এবস হত্যাকান্ডের মামলা হয়েছে তবে আসামী গ্রেফতারে অগ্রগতি নেই। নির্বাচিত সরকার আসলে রায়হান ও সাকিব হত্যার বিচার গতি পাবে।
বিভীষিকাময় সেই দিনের স্মৃতি ও ক্ষতচিহ্ন বহন করে চলেছেন শতাধিক জুলাই যোদ্ধা। এখনো তাদের অনেকেরই মেলেনি সুচিকৎসা।
বোয়ালিয়া মডেল থানায় রাহান ও সাকিব হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র ৫ জন। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের ।