রাজশাহীর গ্রামে গ্রামে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার

- আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৬৮২ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর গ্রামে গ্রামে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়ার কড়া নির্দেশনা রয়েছে। অথচ এখনো তা পায়নি কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের অনেকেই। ত্রাণ না পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়ী করে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছে বঞ্চিতরা।
রাজশাহীর পবা উপজেলার মুশরইল গ্রামের নতুনপাড়ায় একচালা টিন ও বেড়ার ঘরেই বসবাস মনোয়ারা বেগমের। সংসারে থাকা ছেলে রিকশাচালক এখন বেকার। আগে ভিক্ষা করেই চলতো মনোয়ারা।কিন্তু করোনায় সে পথও বন্ধ। ঘরে দু’মুঠো চাল থাকলেও নেই তরকারির জোগাড়। তাই ভাত উঠেনি চুলায়। ভরদুপুরে বসেছেন চাল ভাজতে। কয়েকশ’ দরিদ্র পরিবারের বসবাস এই গ্রামে। রিকশা-ভ্যান চালান কেউ। কেউবা ছোটখাটো পান-সিগারেটের দোকানী। কিন্তু করোনা সতর্কতায় তা বন্ধ। এতদিনেও সরকারি খাদ্যসহায়তা না পেয়ে পেটের জ্বালায় প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার পায় নি পুলিশও। তবে ত্রাণের দাবিতে এধরনের জমায়েতের পেছনে উস্কানি দেখছেন ইউএনও। যদিও তিনি জানান, এর জন্য চেয়ারম্যানকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে যোগযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায় নি পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলুর।