রহস্যময়ী কুয়াশার আবীরে ঢাকা দিনাজপুরের পূর্ণভবা নদী
- আপডেট সময় : ০৪:১৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুর শহরের কোল ঘেঁষে নীরবে বয়ে চলা পূর্ণভবা নদী এখন যেনো কুয়াশার আবীরে ঢাকা এক রহস্যময়ী। দিগন্ত বিস্তৃত ধূসর কুয়াশার চাদর আর তাতে মিশে থাকা হিমেল হাওয়া.. এ যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব নৈসর্গিক চিত্রকল্প। শুধু দিনাজপুর শহর নয়, জেলার প্রতিটি প্রান্তই যেনো ঢেকেছে স্নিগ্ধ মায়াবী চাদরে। শেষ রাতে শীতের মৃদু পরশ ঘুমন্ত চোখে এনে দেয় অন্যরকম অনুভূতি। ক্ষেত মজুররা, যারা প্রকৃতির প্রথম প্রহরী, তারাও হালকা কাপড়ের মোহ ছেড়ে গায়ে জড়াচ্ছেন উষ্ণ বস্ত্র।
দেশের সর্ব উত্তরের এই জেলায় শীতের অনুভূতি অনেকটা আগেভাগেই দরজায় কড়া নাড়ে। ভোরের দিকে অনুভূত হওয়া এই হিমেল স্পর্শের কারণে এরই মধ্যে কাঁথা আর কম্বল বিছানার এক কোণে জায়গা করে নিয়েছে। ভোরের স্নিগ্ধতায় কাঁথা কিংবা কম্বল গায়ে জড়াচ্ছেন দিনাজপুরবাসী—এ যেন প্রকৃতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে উষ্ণতার প্রস্তুতি।
শীতের অনুভূতির কারণে ক্ষেত মজুররাও নিবারণের জন্য গায়ে জড়াচ্ছেন মোটা কাপড়। এই পরিবর্তন কেবল দৈনন্দিনতা নয়, এটি জীবনধারণের এক স্বাভাবিক ছন্দ।
এদিকে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা জানালেন, বর্তমানে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা-নামা করছে। মাসের শুরুর দিকে যে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তা আবহাওয়ার গতিপথ বদলে দেবে। আর সেই বৃষ্টিপাত শেষ হলেই তাপমাত্রা দ্রুত নিচে নেমে আসবে—এতে পূর্ণতা পাবে শীত।
বিশ্লেষকদের দৃঢ় দাবি, শীত ঋতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অন্যান্য ঋতুর চেয়ে অনেক বেশি ও গভীর। এই ঋতুতেই রবিশস্যের ফলন আর শীতকালীন ফসলের প্রাচুর্য। এই ঋতু শুধু নৈসর্গিক মায়া নয়; এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক শক্তি। শীতকাল তাই কেবল শীতলতা নয়, এটি সমৃদ্ধির শুভ সূচনাও।












