রপ্তানী পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে সিএফএস পদ্ধতি চালুর সুপারিশ বিজিএমইএ’র

- আপডেট সময় : ০২:২৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৯২ বার পড়া হয়েছে
প্তানী পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে এবার সিএফএস পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করেছে তৈরিপোশাক মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ। আইনী জটিলতায় নতুন অফডকের অনুমোদন না মেলায় ছোট পরিসরের সিএফএস চান তারা। বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবি, নতুন পদ্ধতিতে খরচ কমবে। গতি বাড়বে রপ্তানী কার্যক্রমে। তবে বিকডা বলছে, আইসিডির বিপরীতে সিএফএসে কতোটুকু সাফল্য মিলবে, তা বলার সময় আসেনি।
রপ্তানী পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কাজ করছে। আমদানী রপ্তানী বাড়ায়, চাপ সামলাতে খালি কন্টেইনার ও ৩৭ ক্যাটাগরির আমদানী পণ্য সরবরাহের দায়িত্বও অফডককে দেয় এনবিআর।
এতে উৎসব পার্বনসহ মাঝে মধ্যে বন্দরে ও অফডকে কন্টেদীর্ঘ জট বাধে। ব্যাহত হয় আসল উদ্দেশ্য। একারণে শুধু রপ্তানী কার্যক্রমে ছোট আকারের অফডক বা সিএফএস চালু করতে চায় বিজিএমইএ।
শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, ১৯ টি অফডক দিয়ে উর্দ্ধমুখি আমদানী রপ্তানীর চাপ সামলানো কঠিন। কঠিন শর্তের কারণে নতুন অফডক আসছে না। তাই সিএফএসের অনুমোদন দিলে, জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তবে বেসরকারী কন্টেইনার মালিকদের সংগঠন বিকডা বলছে, অফডক আর সিএফএসের কাজ প্রায় অভিন্ন। অফডকের সীমিত সক্ষমতায় সিএফএস কতোটুকু সুফল দেবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
২০১৬ সালের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে অফডকগুলো। গেলো বছর সেই নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরই মধ্যে বিএম কন্টেইনার ডিপো ট্রাজেডির কারণে তা আবার পর্যালোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সুযোগে সিএফএসের নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএমইএ।