যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না রাস্তার মানসিক প্রতিবন্ধী নারীরা
- আপডেট সময় : ১০:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৬৩৫ বার পড়া হয়েছে
যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না রাস্তার মানসিক প্রতিবন্ধী নারীরা। নির্যাতনের কারনে গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসব করছে প্রতিবন্ধী নারী। আবারো ধর্ষনের শিকার হয়ে গর্ভবতী হচ্ছে। আর মানসিক প্রতিবন্ধীদের গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতকদের ঠাঁই হচ্ছে বরিশাল বিভাগীয় ছোটমনি নিবাসে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে চুরি হয়ে যায় নবাজতক। মানসিক প্রতিবন্ধী নারীদের নিরাপত্তা কিংবা স্বাস্থ্য সেবায় নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।
এক মাস আগে গভীর রাতে দপদপিয়া সড়কের পাশে, সন্তান প্রসব যন্ত্রনায় ছটফট করেন এক মানসিক প্রতিবন্ধী। স্থানীয় এক মহিলা তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করান। ওই রাতে সিজারিয়ানের প্রতিবন্ধী নারী কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। মা ও শিশু সুস্থ হওয়ার পর নবজাতককে হস্তান্তর করা হয় ছোটমনি নিবাসে। আর মাকে মানসিক ওয়ার্ডে রাখা হলেও প্রতিবন্ধী নারী সেখান থেকে চলে যায়। একই দিন ভোলার লালমোহন হাসপাতালে অপর এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী পুত্র সন্তান জন্ম দেয়।
পিরোজপুর শহরে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী যৌন নির্যাতনে পরপর দুইবার গর্ভবতী হয়। কিন্তু তার নবজাতককে কে বা কারা নিয়ে যায়। তৃতীয়বার গর্ভবতী হলে, তাকে নজরে রাখে সমাজসেবা কর্মীরা। এরপর ওই নারী হাসপাতালে সন্তান প্রসব করে। প্রতিবন্ধী নারীর জন্ম দেয়া শিশুকে ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়। কিন্তু মানসিক ওয়ার্ডে চিকিৎসকসহ নানা সংকট থাকায় প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ওয়ার্ডটি স্বাবলম্বি করার কথা বললেন মেডিকেলের পরিচালক।
মানসিক প্রতিবন্ধী নারীদের নিরাপত্তা ও চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। আর জেলা প্রশাসক বললেন, প্রতিবন্ধী নারীর সুরক্ষার জন্য সমাজসেবার সাথে কথা বলবেন তিনি। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিভাগীয় ছোট মনি নিবাসের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৬ বছরে ওই নিবাসে ১৩৩ শিশু লালন-পালন করা হয়। এর মধ্যে ৩০ শিশুই যৌন নির্যাতনে মানসিক প্রতিবন্ধীদের গর্ভে জন্ম নেয়া।
























