১০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা ও পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়তে শুরু হলো এল–১ ভিসা সচেতনতা ক্যাম্পেইন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৯৬৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও পরিবারের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার নতুন সুযোগ তৈরি করছে এল–১ ভিসা। এই সুযোগকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বিশেষ এক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউএস এরিয়া ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসএআইএস)।

ক্যাম্পেইনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মার্কিন অভিবাসন ও নাগরিকত্ব পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) কর্মকর্তা শেখ গালিব রহমান এবং অভিজ্ঞ মার্কিন অভিবাসন পরামর্শক আলকা মাদান। তিনি ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বে এরিয়া ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্কিন অভিবাসন সেবায় ২২ বছরের অভিজ্ঞ।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই দুই বিশেষজ্ঞ মার্কিন অভিবাসন প্রক্রিয়ার আইনি কাঠামো, অনুমোদনের ধাপ ও বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা রাখেন। তাদের নেতৃত্বে উদ্যোক্তারা এল–১ ভিসার যোগ্যতা, শর্ত ও ব্যবহারিক সুযোগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

ইউএসএআইএস কেবল ভিসা প্রসেসিং সংস্থা নয়। প্রতিষ্ঠানটি এক ছাতার নিচে অভিবাসন, আইনগত পরামর্শ, হিসাবরক্ষণ, মার্কিন কোম্পানি নিবন্ধন, ব্যাংকিং সুবিধা ও পরিবারের স্থানান্তরসহ পূর্ণাঙ্গ সেবা প্রদান করে। ফলে একজন উদ্যোক্তার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া হয় সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত।

কারা আবেদন করতে পারবেন, এল–১ ভিসা মূলত সেইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য, যারা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অফিস খুলতে চান অথবা বিদ্যমান অফিসে দক্ষ নির্বাহী বা ম্যানেজার পাঠাতে চান। আবেদনকারীর গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত এক বছর নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বা বিদ্যমান অফিস থাকতে হবে এবং বিদেশি ও মার্কিন অফিসের মধ্যে বৈধ কর্পোরেট সম্পর্ক থাকতে হবে। নতুন অফিসের জন্য প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয় ১ বছরের জন্য, বিদ্যমান অফিসের ক্ষেত্রে ৩ বছর। সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত নবায়নযোগ্য।

আবেদনকারীর স্ত্রী ও সন্তানরা এল–২ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন। স্ত্রী কাজ করার অনুমতি পাবেন এবং সন্তানরা স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। এক বছর পর পরিবারসহ ইবি–১সি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এল–১ ভিসা হলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অন্যতম সহজ পথ। এই ভিসা থেকে সরাসরি ইবি–১সি গ্রিন কার্ডে রূপান্তর করা যায়। এ ক্ষেত্রে ইউএসএআইএস পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, কোম্পানি নিবন্ধন, অফিস ভাড়া, ইউএসসিআইএস অনুমোদিত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, ভিসা ফাইলিং, সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি ও গ্রিন কার্ড প্রসেসিং পর্যন্ত।
প্রিমিয়াম প্রসেসিং-এর মাধ্যমে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ফলাফল পাওয়া যায়, আর নিয়মিত প্রসেসিংয়ে সময় লাগে ৩–৫ মাস।

২৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইউএসএআইএস ইতিমধ্যেই হাজারো উদ্যোক্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা শুরুতে সহায়তা করেছে। বর্তমানে তাদের রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ১৬টি অফিস এবং বিশ্বব্যাপী ৩০টি শাখা, যার মধ্যে ঢাকা, লন্ডন, দুবাই, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ এখন শুধু একটি ভিসা প্রক্রিয়া নয়—এটি পুরো পরিবারের জন্য ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার এক বড় সুযোগ। সাবেক ইউএসসিআইএস কর্মকর্তা শেখ গালিব রহমান এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আলকা মাদানের অভিজ্ঞ নেতৃত্বে ইউএসএআইএস-এর এই উদ্যোগ এল–১ ভিসাকে আরও কার্যকর, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পথ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা ও পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়তে শুরু হলো এল–১ ভিসা সচেতনতা ক্যাম্পেইন

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও পরিবারের উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার নতুন সুযোগ তৈরি করছে এল–১ ভিসা। এই সুযোগকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বিশেষ এক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউএস এরিয়া ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসএআইএস)।

ক্যাম্পেইনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মার্কিন অভিবাসন ও নাগরিকত্ব পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) কর্মকর্তা শেখ গালিব রহমান এবং অভিজ্ঞ মার্কিন অভিবাসন পরামর্শক আলকা মাদান। তিনি ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বে এরিয়া ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্কিন অভিবাসন সেবায় ২২ বছরের অভিজ্ঞ।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই দুই বিশেষজ্ঞ মার্কিন অভিবাসন প্রক্রিয়ার আইনি কাঠামো, অনুমোদনের ধাপ ও বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা রাখেন। তাদের নেতৃত্বে উদ্যোক্তারা এল–১ ভিসার যোগ্যতা, শর্ত ও ব্যবহারিক সুযোগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

ইউএসএআইএস কেবল ভিসা প্রসেসিং সংস্থা নয়। প্রতিষ্ঠানটি এক ছাতার নিচে অভিবাসন, আইনগত পরামর্শ, হিসাবরক্ষণ, মার্কিন কোম্পানি নিবন্ধন, ব্যাংকিং সুবিধা ও পরিবারের স্থানান্তরসহ পূর্ণাঙ্গ সেবা প্রদান করে। ফলে একজন উদ্যোক্তার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া হয় সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত।

কারা আবেদন করতে পারবেন, এল–১ ভিসা মূলত সেইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য, যারা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অফিস খুলতে চান অথবা বিদ্যমান অফিসে দক্ষ নির্বাহী বা ম্যানেজার পাঠাতে চান। আবেদনকারীর গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত এক বছর নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বা বিদ্যমান অফিস থাকতে হবে এবং বিদেশি ও মার্কিন অফিসের মধ্যে বৈধ কর্পোরেট সম্পর্ক থাকতে হবে। নতুন অফিসের জন্য প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয় ১ বছরের জন্য, বিদ্যমান অফিসের ক্ষেত্রে ৩ বছর। সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত নবায়নযোগ্য।

আবেদনকারীর স্ত্রী ও সন্তানরা এল–২ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন। স্ত্রী কাজ করার অনুমতি পাবেন এবং সন্তানরা স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। এক বছর পর পরিবারসহ ইবি–১সি গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এল–১ ভিসা হলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অন্যতম সহজ পথ। এই ভিসা থেকে সরাসরি ইবি–১সি গ্রিন কার্ডে রূপান্তর করা যায়। এ ক্ষেত্রে ইউএসএআইএস পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, কোম্পানি নিবন্ধন, অফিস ভাড়া, ইউএসসিআইএস অনুমোদিত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, ভিসা ফাইলিং, সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি ও গ্রিন কার্ড প্রসেসিং পর্যন্ত।
প্রিমিয়াম প্রসেসিং-এর মাধ্যমে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ফলাফল পাওয়া যায়, আর নিয়মিত প্রসেসিংয়ে সময় লাগে ৩–৫ মাস।

২৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ইউএসএআইএস ইতিমধ্যেই হাজারো উদ্যোক্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা শুরুতে সহায়তা করেছে। বর্তমানে তাদের রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ১৬টি অফিস এবং বিশ্বব্যাপী ৩০টি শাখা, যার মধ্যে ঢাকা, লন্ডন, দুবাই, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ এখন শুধু একটি ভিসা প্রক্রিয়া নয়—এটি পুরো পরিবারের জন্য ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার এক বড় সুযোগ। সাবেক ইউএসসিআইএস কর্মকর্তা শেখ গালিব রহমান এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আলকা মাদানের অভিজ্ঞ নেতৃত্বে ইউএসএআইএস-এর এই উদ্যোগ এল–১ ভিসাকে আরও কার্যকর, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পথ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।