মুড়িমুড়কির মতো ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশনে চলছে ৫ শতাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

- আপডেট সময় : ০২:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৬৭ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে পান-সিগারেট কিংবা মুদি দোকানের স্টাইলে শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে ৫ শতাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কোন তথ্যই নেই স্বাস্থ্য বিভাগে। এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিতে সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছে সিভিল সার্জন। জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি কর্তৃপক্ষের একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের ঘুম ভাঙ্গাকে স্বাগত জানিয়েছেন বেসরকারী ক্লিনিক মালিক সংগঠনগুলোর নেতারা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার এলাকার সিটি হেলথ মেডিকেল নামের একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত করাতে গিয়ে সম্প্রতি মৃত্যু হয় এক কলেজ ছাত্রীর। মৃত্যুর পর করোনা আক্রান্ত বলে নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ গছিয়ে দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানাজানি হলে তদন্তে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের পীড়াপীড়িতে ক্লিনিকটিতে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ দেখে- শুধু ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া তাদের কোনো অনুমোদন নেই।
এ ঘটনা তেমন গুরুত্ব না পেলেও ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের হিসেবে এ পর্যন্ত ৫৮০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে সব শর্ত পুরণের পর অনুমোদন পায় ১৭০টি। এদের অনুমোদন হালনাগাদ করেছে সিভিল সার্জন অফিস। বাকিরা অনুমোদন না পেলেও পর্যবেক্ষণে আছে কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এর বাইরে শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করছে আরো অনেকে। এদের খুঁজে পেতে সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি লাইসেন্স দেবার প্রক্রিয়া সহজীকরণের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক মালিকদের সংগঠনগুলো।
তবে সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া স্বাস্থ্য বিভাগের চিঠিকে নিজেদের ব্যর্থতার দায় অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন এই বিশ্লেষক। চূড়ান্ত অনুমোদন এবং নবায়নকৃত লাইসেন্স ছাড়া যে কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আইনগত সুযোগ না থাকলেও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বেলায় নিয়মটা ভিন্ন। পরিদর্শনে লোকবল স্বল্পতার অজুহাতে শুধু আবেদন করলেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। যার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। ফুটেজ-৩