মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বিকেলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন পিডিপির মহাসচিব এম এ হোসেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফেরদৌস কোরেশী অসুস্থ ছিলেন। বিকেলে ক্যান্টনমেন্টের ভাড়া বাসা থেকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর স্ট্রোক করায় অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কোরেশী। প্রায় অর্ধমাস ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ’৬০-এর দশকের মেধাবী ছাত্রনেতা ড. কোরেশী তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৬১ সালে ডাকুসর ভিপিও নির্বাচিত হন। অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে তার অবদান ছিল অসামান্য। ৬ দফা ও ১১ দফাভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে দেশবাংলা পত্রিকা বের করেন ড. কোরেশী। ওই সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি গঠন করলে ওই দলের প্রথম যুগ্ম মহাসচিবও ছিলেন ড. কোরেশী। ২০০৭ সালে তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল- পিডিপি গঠন করেন।