মালিকদের উদাসীনতায় আজো উপেক্ষিত শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার

- আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
মহান মে দিবসের ১৩৫ বছর পরও এখনো সুরক্ষিত হয়নি শ্রমিক স্বার্থ, নিশ্চিত হয়নি ন্যায্যমজুরি এবং নির্ধারিত কর্মঘন্টা। অধিকার থেকে এখনো বঞ্চিত বাংলাদেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক। ন্যূনতম জীবনমান, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ন্যায়বিচারসহ অনেক দাবি এখনো অধরা। বছর ঘুরে আসে মে দিবস, কিন্তু পূরণ হয়না দিবসটির মূল লক্ষ্য। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, সরকার এবং মালিকদের উদাসীনতার কারণেই এখনও উপেক্ষিত শ্রমিকের অধিকার।
দু’মুঠো ভাতের জন্য ভের থেকে এভাবেই শুরু হয় জীবন যুদ্ধ , গ্রীষ্মের প্রখর রোদের খরতাপে যখন ওষ্ঠাগত অবস্থা তখনো ছুটে চলা এসব মানুষগুলোর।
কয়লা মাথায় চেপে এক স্থান থেকে আন্য স্থানে ফেলাই কাজ। যে কয়কটি টুকরি নেয়া যাবে, সে হিসেবে মিলবে টাকা। এখানে নেই নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা বা যৌক্তিক মজুরি ।
নিচে দাউদাউ করে জ্বলছে, ইটভাটার আগুন আর উপরের খরতাপ, একটু অসতর্ক হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের বিপদ, তারপরেও মিলছে না ন্যায্য মজুরি।
মে দিবস কি, এর গুরুত্বই বা কি ? এসব জানেন না এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো, শুধু জানেন বেঁচে থাকতে হলে পরিশ্রম করে যেতে হবে দিন রাত।
দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সাথে সমান্তরাল ভাবে এসব শ্রমজীবী মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন কি ঘটেছে? নাকি বাড়ছে শোষণ নিপীড়ন আর বৈষম্য । মে দিবসে ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার, এ নিয়ে কি বলছেন শ্রমিক নেতারা?
মে দিবস শ্রমিক শ্রেণীর ওপর নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শেখায়।