মশার অত্যাচারে অতিষ্ট চট্টগ্রামের মানুষ
- আপডেট সময় : ১১:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
- / ১৬৭৫ বার পড়া হয়েছে
মশার অত্যাচারে অতিষ্ট বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মানুষ। চলতি মৌসুমে শুধু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪ হাজার ৮২ জন। যাদের মধ্যে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিটি মেয়রের দাবি, মশার ইউমিনিটি পাওয়ার বেড়ে যাওয়ায় ওষুধে কাজ হচ্ছে না। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আপত্তির কারনে অধিক পাওয়ারের ওষুধ প্রয়োগ করতে পারছেন না তারা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশার হট স্পটগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি পরিবেশ উপযোগী কার্যকর ওষুধের প্রয়োগ জরুরি। কিন্তু তার জন্য স্বদিচ্ছা থাকতে হবে সিটি কর্পোরেশনের।
কখনো ফগার মেশিনের মহড়া আবার কখনো ড্রোন দিয়ে মশার লার্ভার সন্ধান করা। মশা মারতে এমন কামান দাগানোর দৃশ্য মাঝে মধ্যেই চোখে পড়ে চট্টগ্রামে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং মশার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে নগরবাসী। নির্মাণাধিন ভবন থেকে শুরু করে নালা নর্দমা সবখানেই মিলছে মশার লার্ভার অস্তিত্ব। বাড়ছে মশাবাহিত রোগ বালাই। এতে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।নগরীর মশা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। মেয়রের দাবি, মশার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধেও কাজ হচ্ছে না। আবার ডব্লিউএইচও’র আপত্তির কারনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ প্রয়োগও করা যাচ্ছে না। আপাতত মশার সঙ্গে সমন্ময় করেই চলতে হবে নগরবাসীকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরীর কোন কোন এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। কোন পরিবেশে বংশ বিস্তার করছে, কোথায় কি ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে– তার সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা নেই সিটি কর্পোরেশনের। একারনেই রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করেও সুফল আসছে না।সিটি কর্পোরেশনের তত্বাবধানে নগরবিদ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সমন্নয়ে একটি মাস্টারপ্লান তৈরী করলে মশার উপদ্রব বন্ধ করা কঠিন হবে না বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
















