সিলেটে ভয়াবহ বন্যার পর সুরমা নদী খননের দাবি জোরদার

- আপডেট সময় : ০৩:২৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
- / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে ভয়াবহ বন্যার পর সুরমা নদী খননের দাবি উঠছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী-এমপির একই কথা বলছেন। দীর্ঘদিন খনন না করায়, এবার বেশি ভুগতে হয়েছে সিলেট মহানগরী ও সুরমা তীরবর্তী মানুষকে। অথচ ১০ বছরে সুরমা নদী খননে চারটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তিনবার সমীক্ষাও চালানো হয়। কিন্তু কোনো প্রকল্পই আলোর মুখ দেখেনি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রকল্প গ্রহণের নামে টাকার অপচয় হচ্ছে। সিলেট সদরের এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী বর্ষার আগেই সুরমা নদী খনন করা হবে।
২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে সুরমা দেশের দীর্ঘতম নদী। ভারতের বরাক নদী, সিলেটের জকিগঞ্জের অমলসীদ এসে বিভক্ত হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সুরমা সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় মিলিত হয়েছে।
দীর্ঘ সুরমা নদী বছরের পর বছর খনন না হওয়ায় তলদেশ ভরে গেছে। সিলেটে ভয়াবহ বন্যার ফের আলোচনায় সুরমা নদী খননের বিষয়টি। বন্যার ভয়াবহতা ও ব্যাপক জনভোগান্তির জন্য সুরমা নদী ভরাটকে দায়ী করছে সবাই।
২০২০ সালে শেষবার বিআইডব্লিটিএ’র ড্রেজিং বিভাগ সুরমা খননে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এখনও তার অনুমোদন হয়নি। এর আগে ১০ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে সুরমা খননে তিনটি ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু কোনটাই আলোর মুখ দেখেনি।
নৌপথে কোথাও চর জেগে উঠলে বা নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে খনন করার কথা জানান বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান।
একশত বছরেও সুরমা নদী খনন হয়নি। নাব্য কমে যাওয়ায় এবার বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মনে করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র।
১৮ মে সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে, সদর আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী বর্ষার আগে সুরমা নদী খনন করা হবে।
তবে এখনও প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায়, খুব দ্রুত সুরমা খনন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানান পরিবেশবাদীরা।
খনন করার পাশাপাশি এতে পানির প্রবাহ ঠিক হচ্ছে কিনাএবং কাঙ্খিত ফল মিলছে কিনা তাও দেখা দরকার বলে মত দিয়েছেন পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত।
দ্রুত সুরমা খননের প্রকল্প অনুমোদন হবেএবং আগামী বর্ষার আগেই খনন কাজ শুরু হবে-এমটচাই প্রত্যাশা সুরমা পারের মানুষের