ভৌতিক ফলাফলে অনাস্থা বাড়ল মানুষের : বিশ্লেষকরা

- আপডেট সময় : ১১:৫৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
- / ২৭৬৬ বার পড়া হয়েছে
কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারের আনাগোনা ছিলো হাতে গোনা। অলস সময় কাটান ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। বেশিরভাগ কেন্দ্রে সরকার দলীয় এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্টও ছিলো না। অথচ রাতে ফলাফল ঘোষণার সময় দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। লাখ লাখ ভোটের হিসেব দেখালো নির্বাচন কমিশন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন ভৌতিক ফলাফলে নির্বাচন কমিশন ও ভোটের প্রতি সাধারণ ভোটারদের অনাস্থা বাড়লো।
৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮ টায় চান্দগাঁও মৌলভিপুকুরপার এলাকায় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় পুলিশের। সিএমবি মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষ; চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ওই এলাকার তিনটি ভোট কেন্দ্রেও চালানো হয় হামলা। খাতা কলমে কিছু সময় বন্ধ রেখে, ফের ভোটগ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্রে ভোটার আসার পরিস্থিতি ছিলো না। কিন্তু ঘোষিত ফলাফলে প্রতিটি কেন্দ্রে সাড়ে ৫ শো থেকে সাড়ে ৬ শো ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। যার সঙ্গে একমত নন স্থানীয় বাসিন্দারা।
চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনের অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রের চিত্র ছিল এমন। কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো হাতে গোনা। অলস সময় কাটান ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অথচ ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মোতাহের হোসেন চৌধুরী
ভোট পেয়েছে এক লাখ বিশ হাজার। তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর ভোটও একেবারে কম নয়। একই চিত্র চট্টগ্রামের অধিকাংশ আসনে। এতে হতবাক পর্যবেক্ষকরা।
নানা কারণে ২০১৪ সালের পর ভোটের প্রতি আগ্রহ হারায় ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের প্রতিও তৈরী হয় অনাস্থা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সেই অনিহা ও অনাস্থা বাড়ালো বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
একতরফা নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১২টিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টির একটি ও বাকি ৩ টি আসনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।