ভাসানচরে স্থানান্তরিত হলো আরো ১৮শ ৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী

- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
দ্বিতীয় দফায় আরো ১৮ শো ৪ জন রোহিঙ্গাদেরকে স্থানান্তরিত করা হলো নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মিত অস্থায়ী নিরাপদ নিবাসে। নৌবাহিনীর ৭টি জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছে দেয় তাদের। স্থানান্তরিত হওয়া এসব রোহিঙ্গারা জানান, আধুনিক সুযোগ সুবিধার গল্প শুনে সেখানে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারা। তবে তাদের মূল গন্তব্য মিয়ানমারের রাখাইন।
তিন বছর আগে নিজের বাড়ি ঘর, সহায়-সম্বল ফেলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে সঙ্গী করে এভাবেই বাংলাদেশের পথে পা বাড়িয়েছিলেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা। বাংলাদেশ সরকারের উদারতায় আশ্রয় পেয়েছিলেন কুতুপাংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
জীবনের ভেলায় ভাসতে ভাসতে রোহিঙ্গাদের এবারের গন্তব্য নোয়াখালীর ভাসানচর। মিয়ানমারে বাস্তুভিটা ফেলে আসার সময় পেছনে করেছিলো মৃত্যু ভয় তারা । আর কুতুপালং থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্ত্বায় যাচ্ছেন ভাসানচর। তিনবছর আগের সেই যাত্রায় ভবিষ্যত ছিলো অনিশ্চিত কিন্তু এবারের যাত্রায় উন্নত জীবনের হাতছানি। এতে খুশি রোহিঙ্গারা।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাসানচরের নিরাপদ পরিবেশ দেখার পাশাপাশি প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের মুখে বাস্তবচিত্র জেনেই সেখানে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে জানান তারা।
তবে ভাসান চরের পরিবর্তে জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইনই তাদের আরাধ্য গন্তব্য বলে জানান এসব রোহিঙ্গারা। তাই স্থানান্তর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার না চালিয়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সহজীকরণ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবানও জানান তারা।
এদিকে ভাসানচরের নিরাপদ পরিবেশ আর উন্নত জীবনের প্রতিচ্ছবি স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে আরো সহজীকরণ করছে বলে জানান নৌ-বাহিনীর এই কর্মকর্তা।
সট: রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক, কমান্ডার, চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল
দুবছর আগেই রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে অস্থায়ী নিরাপদ নিবাস গড়ে তোলা হলেও জাতিসংঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অপপ্রচারের কারণে সেখানে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। কিন্তু গেল ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্ব-প্রণোদিত হয়ে ১৬’শো ৪২ জন রোহিঙ্গা যায় ভাসানচরে। এক মাসের মাথায় দ্বিতীয় দফায় গেল আরো ১ হাজার ৮০৪ জন গেল সেখানে।