বিশ্ববাজারে দাম কমলেও ব্যবসায়ীদের চাপে ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ

- আপডেট সময় : ০৫:৪০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ববাজারে দাম কমার পরও আমদানীকারকদের চাপে ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলেছে সরকার। রেকর্ড দাম বৃদ্ধিতে জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ। তারপরও দাম বাড়ানোর আশায় কোম্পানিগুলো বাজারে পর্যাপ্ত তেল ছাড়ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দুর্বলতায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠছে বলেও মনে করেন তারা।
বিশ্বব্যাংকের পণ্য মূল্য তালিকায় দেয়া তথ্য বলছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে এপ্রিল ২০২২-এ এসে হয়েছে ১৯১৯ ডলার।
সেই ধারাবাহিকতায় দামের ওঠানামায় অস্থির ভোজ্যতেলের বাজার। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কমদামে আগামী দিনের জন্য তেলের বিপুল মজুদ গড়ে তুলেছে। অথচ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেই তেমন কোনো উদ্যোগ।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম ওঠানামা করলেও, রমজানের উর্ধমুখী বাজারের সাথে তাল মেলানোর নামে ঈদের পরই সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম একলাফে ৪৪ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমতি দেয় সরকার। অথচ ঈদের পর আন্তর্জাতিক বাজার এখন নিম্নমুখী। আবার দাম বাড়ানোর পরও কোম্পানিগুলো বাজারে যথেষ্ট তেল না ছাড়ায় চলছে হাহাকার।
এমন অস্থির পরিস্থিতিতে তেলের বাজার নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বিশেষজ্ঞরা। দায়ী করেন ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিত মজুদদারীকে।
তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বৈশ্বিক বাজারকে দায়ী করেন এই আমদানীকারক।
ভোজ্যতেল সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে সরকার গুটিকয়েক আমাদানীকারকের সিণ্ডিকেট ভেঙ্গে দেবে- এমটাই প্রত্যাশা ক্রেতাদের।