বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই : রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

- আপডেট সময় : ০৭:১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
- / ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে
স্বজনদের প্রার্থনা ও চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে, অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ কালজয়ী গানের এই রচয়িতা। তাঁর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশিষ্টজনরা।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি..আমি কি ভুলিতে পারি …অমর একুশে ফেব্রুয়ারির কালজয়ী এ গানের স্রষ্টা আবদুল গাফ্ ফার চৌধুরী।
১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে জন্ম নেন গাফফার চৌধুরী। বাবার নাম হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন।
১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন।
১৯৫০ সালে গাফ্ফার চৌধুরী দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন।
১৯৬৩ সালে তিনি সাপ্তাহিক ‘সোনার বাংলা’র সম্পাদক হন। ১৯৬৬ সালে তিনি দৈনিক ‘আওয়াজ’ বের করেন। পত্রিকাটি ছয় দফা আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র ‘সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’য় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় ‘দৈনিক আনন্দবাজার’ ও ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭৪ সালে লন্ডনে পাড়ি জমান গাফ্ফার চৌধুরী। এরপর তার প্রবাস জীবনের ইতিহাস শুরু হয়। প্রবাসে বসে গাফ্ফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লেখালেখি করতেন।
তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পদক, ইউনেস্কো পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কারসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার লাভ করেন।
সবশেষ ৮৭ বছর বয়সে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খ্যাতিমান এই কলমযোদ্ধা।