০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি আবারো কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫৫২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ ও পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি আবারো কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু-কিছু এলাকায় পানি কমার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এর ফলে আরো দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গতদের।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরও খাদ্য সংকটসহ নানা দুর্ভোগে পড়েছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গতরা। একদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ি অন্যদিকে কর্মহীন জীবন। উভয় সংকটে পড়ে দুর্বিসহ দিন কাটছে চরাঞ্চলের প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এবারের বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ১শ’ ৪০ কোটি টাকা।

গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরও ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার মাত্র ২৫ এবং একই সময় জেলার উত্তরের উপজেলা কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টেও ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গত এক মাসে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি ও বন্দরখোলা এই ৩টি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি কমতে থাকায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারন করেছে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ৩ দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে এখনও হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। অপরদিকে গেল এক সপ্তাহ ধরে নদী পারের আরেক আতংক হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। জেলার শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদরে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

গাজীপুরে নদ নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকলেও বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনরা নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছন। কালিয়াকৈর উপজেলাতে বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বন্যা একই এলাকায় বানভাসি মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন । এখনো অনেক এলাকায় বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ।

নেত্রকোনার ধনু নদীর পানি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার করে পানি কমছে। সকালে খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করায় দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। অনেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করলেও ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে।

এদিকে, পানি কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে এভাবেই চলছে পাবনায় বিভিন্ন নদনদীর অবস্থা। তবে আগের চেয়ে পানি অনেক কমে যাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে বন্যার কারনে অন্য জায়গায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ গুলো। অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। জিও ব্যাগ ফেলে চেষ্ঠা চলছে ভাঙ্গন রোধে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি আবারো কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০

কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ ও পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি আবারো কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু-কিছু এলাকায় পানি কমার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এর ফলে আরো দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গতদের।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরও খাদ্য সংকটসহ নানা দুর্ভোগে পড়েছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গতরা। একদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ি অন্যদিকে কর্মহীন জীবন। উভয় সংকটে পড়ে দুর্বিসহ দিন কাটছে চরাঞ্চলের প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এবারের বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ১শ’ ৪০ কোটি টাকা।

গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরও ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার মাত্র ২৫ এবং একই সময় জেলার উত্তরের উপজেলা কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টেও ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গত এক মাসে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি ও বন্দরখোলা এই ৩টি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি কমতে থাকায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারন করেছে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ৩ দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে এখনও হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছে। অপরদিকে গেল এক সপ্তাহ ধরে নদী পারের আরেক আতংক হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। জেলার শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদরে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

গাজীপুরে নদ নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকলেও বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনরা নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছন। কালিয়াকৈর উপজেলাতে বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বন্যা একই এলাকায় বানভাসি মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন । এখনো অনেক এলাকায় বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ।

নেত্রকোনার ধনু নদীর পানি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার করে পানি কমছে। সকালে খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করায় দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। অনেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করলেও ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়েছে।

এদিকে, পানি কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে এভাবেই চলছে পাবনায় বিভিন্ন নদনদীর অবস্থা। তবে আগের চেয়ে পানি অনেক কমে যাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে বন্যার কারনে অন্য জায়গায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ গুলো। অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। জিও ব্যাগ ফেলে চেষ্ঠা চলছে ভাঙ্গন রোধে।