বিপাকে চট্টগ্রামের দুই হাজার দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও গরুর খামারী

- আপডেট সময় : ০৩:৩১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০২০
- / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের কারণে বড় বড় মিস্টির দোকানের পাশাপাশি পাস্তুরিত ও গুড়া দুধের প্রক্রিয়াজাতকরণ বন্ধ থাকায় বিপাকে চট্টগ্রামের দুই হাজার দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও গরুর খামারী। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পানির দামে দুধ বিক্রি করেও হিমসিম খাচ্ছে তারা। দৈনিক উৎপাদিত তিন লাখ লিটার দুধের মধ্যে দেড় লাখই অবিক্রিত থাকছে। এই বাস্তবতায় সরকারের প্রণোদনা না পেলে, খামার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। আর পশু সম্পদ বিভাগ বলছে, খামারিদের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরে সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
চট্টগ্রামের কর্ণফূলী উপজেলার মইজ্যারটেক এলাকার একটি খামারের চিত্র এটি। ১২০ টি গরুর মধ্যে ৪২ টি গরু প্রতিদিন দুধ দেয় দুই হাজার লিটার। ১০ দিন আগেও বড় বড় মিস্টির দোকান আর মিল্কভিটার এজেন্টরা খামারে এসে কারাকারি করে দুধ কিনে নিয়ে যেতো। কিন্তু এখন ক্রেতা নেই। এমনকি কর্মচারীরা ভ্যানে করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না উৎপাদিত দুধ।
পশু সম্পদ বিভাগের তালিকায় চট্টগ্রামে এমন ছোট-বড় ১৬শো ৩২টি খামারে দুধেল গাই দেড় লাখের বেশি। তালিকার বাইরে গৃহস্ত পর্যায়ে অসংখ্য গরু আছে। ক’দিনের ব্যবধানে দুধের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে আসায়, হতাশ খামারিরা।
আর পশু সম্পদ বিভাগ বলছে, খামারিদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে সহায়তার আবেদন জানানো হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের খাদ্য সরবরাহের তালিকায়, মিল্কভিটার মাধ্যমে দুধ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করো হবে।
দৈনিক গড়ে দু’শো টাকার খাবার খায় প্রতিটি গরু; এর সঙ্গে যুক্ত হয় খামার চালানোর খরচ। দুধের দাম কমে যাওয়ায় অনেক খামারি খাদ্য সরবরাহও কমিয়ে দিয়েছে। ফলে এই খাতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।