বিধিনিষেধের কারণে গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রংপুর ও গোপালগঞ্জের খামারীরা

- আপডেট সময় : ০৫:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
ঈদকে সামনে রেখে এবারও শংকর ও দেশীয় জাতের গরু পালন করেছে রংপুর বিভাগের খামারীরা। কিন্তু, বিধিনিষেধের কারণে গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। চাহিদার তুলনায় তিন লাখেরও বেশি পশু রয়েছে রংপুর বিভাগে। এদিকে, গোপালগঞ্জে ব্যক্তি পর্যায় ও খামারে ৩২ হাজার গবাদি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। কিন্তু করোনায় হাট না বসলে লোকসানের আশংকা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে, ভারতীয় গরু না আসলে খামারীরা লাভবান হবে বলে মনে করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
বেশ স্বাস্থ্যবান, চতুর আর রাগ বেশি হওয়ায় নিজের খামারে জন্ম নেয়া ষ্টিকফ্রিজিয়ান জাতের ষাড়টিকে আদর করে “ডন” নামে ডাকেন খামারি মাহমুদুল হাসান। প্রায় চার বছর বয়সী ডনের ওজন এক হাজার চার’শ কেজি। প্রিয় পশুটিকে বিদায় দেয়ার চিন্তায় বিষাদে ভুগছেন খামারি।
উত্তরের খামারগুলোতে সাধারণত ষ্টাইনফ্রিজিয়ান, ব্রাহমা, শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, জার্সিসহ দেশীয় জাতের গরু পালন করা হয় বলে জানান, খামারিরা।
বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ। অনলাইনে কেনা-বেচা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এ বছর রংপুর বিভাগে কোরবানির জন্য ১০ লাখ পশুর চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর।
গোপালগঞ্জে ৩২ হাজার গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করেছে চার হাজার খামারি। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ ও দাদন নিয়ে এসব পশু পালন করেছে তারা। পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার তাদের খরচও হয়েছে দ্বিগুন। করোনার কারনে হাট না বসায় পশু বিক্রি নিয়ে সংশয়ে পড়েছে খামারিরা।
জেলায় অনলাইনের মাধ্যমে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা হলেও, বিষয়টি জানেনা অনেক খামারি। এছাড়া, ভারতীয় গরু এলে লোকসানের শংকা করছে তারা।
ঈদের আগ মূহুর্তে হাট বসলে ও আনলাইনে পশু বিক্রি হলে খামারিরা লাভবান হবে বলে মনে করে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
করোনা ঝুঁকির মাঝেও সঠিক দামে পশু বিক্রির আশা করছে খামারিরা।