বিদ্যুৎ-পানিসহ খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সার্ভিস চার্জ নিচ্ছেন ঢাকার মাল্টিপ্লান মার্কেট সমিতির নেতারা

- আপডেট সময় : ০৩:২৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
বিদ্যুৎ-পানিসহ খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সার্ভিস চার্জ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লান মার্কেট সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে সমিতিরি নাম ভাঙ্গিয়ে। এর প্রতিবাদ করে হুমকির মুখে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। ৮ বছর ধরে এমন নৈরাজ্য চললেও সমিতির নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ১৪ তলা এই মাল্টিপ্লান মার্কেট ভবনে দোকান রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার বর্গফুট জুড়ে। এখানে ব্যবসায়ীদের সার্ভিস চার্জ দিতে হয় প্রতি বর্গফুট হিসেবে। গেলো বছরের ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মার্কেটের পানির বিল পরিশোধ করা হয় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৪ টাকা। অথচ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
ডিপিডিসির তথ্য বলছে, এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মার্কেটের বিদ্যুত বিল জমা দেয়া হয়েছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৬ টাকা। কিন্তু বর্গফুট হিসেবে ওই দুই মাসে উত্তোলন করা হয়েছে ৬০ লাখ টাকার উপরে। গেলো বছরের এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুত বিল জমা দেয়া হয়নি। কিন্তু, মার্কেট বন্ধ থাকার পরও রেহাই পাননি ব্যবসায়ীরা। মে মাসে শুধু কমনস্পেসের ভাড়া দিলেও,এপ্রিল মাসে গুনতে হয়েছে প্রতি বর্গফুটে ২৪ টাকা করে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারি কোষাগারে মার্কেটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার বিল ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪০ টাকা জমার বিপরীতে, তোলা হয়েছে ৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। সমিতি অফিসের ৮/১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন দেয়ার নামে প্রতি মাসে তোলা হয় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা।
এসি,লিফট,এস্কেলটরসহ ১৫ টি খাতের বিলের নামেও অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। পার্কিং এর জায়গায় তৈরি করা হয়েছে খাবার হোটেল।
তবে মার্কেট সমিতির নেতাদের দাবি,অনেকেরই সার্ভিস চার্জ বাকি থাকে। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পোহাতে হয় ভোগান্তি। অনেকে মামলার মুখে পড়েছেন। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।ভুঁইফোড় সংগঠন আওয়ামী অনলাইন লীগের সভাপতি ছিলেন মার্কেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিরোধীপক্ষ তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।