বিদেশী প্রসাধনীর নকল মোড়ক তৈরী হচ্ছে পুরান ঢাকায়

- আপডেট সময় : ০১:৪৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
বিদেশী ব্রান্ডের হরেক রকম প্রসাধনীর নকল মোড়ক তৈরী হচ্ছে পুরান ঢাকায়। গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে, নকলকারী পাকড়াও হলেও, বেরিয়ে এসে আবার পুরনো পেশায় যোগ দেন।
নবীউল্লাহ নামে নকল মোড়ক প্রস্তুতকারী চারবার জেলে গেলেও বেরিয়ে এসে আবার একই কাজে যোগ দেয়। ডিবি পুলিশ বলছে, উচ্চ আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন অপরাধীরা আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। অন্যথায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করা দুরূহ হয়ে পড়বে।
পুরান ঢাকা ও কামরাঙ্গীরচর জুড়ে গড়ে উঠেছে দেশী বিদেশী নামী-দামী ব্র্যান্ডের নকল পণ্যের অসংখ্য কারখানা।
চকবাজার ও কামরাঙ্গীর চর এলাকার ভেজাল কারখানায় তৈরী হয় ভারত, পাকিস্তান,কোরিয়া, চায়না, থাইল্যান্ড ও আমেরিকার স্বনামধন্য নামী দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী।
এসব নকল প্রসাধনীকে আসলের মতো মোড়কজাত ও প্যাকেজিং করতে চকবাজার বড় কাটারা এলাকায় প্রিন্টিং প্রেস স্থাপন করে রমরমা ব্যবসা করছে নবী উল্লাহ। জাফর উল্লাহ বাড়ী ভাড়া নিয়ে, দীর্ঘদিন ধরে নকল প্রসাধনীর মোড়ক ও প্যাকেজিং-এর কাজ করেন তিনি।
পণ্যের নকল মোড়ক প্রিন্টিংকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে ২ জন গ্রেফতার হলেও আড়ালে থেকে যায় নবী উল্লাহ। তবে উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে, পুনরায় নকল মোড়ক প্রিন্টিংয়ের কাজ শুরু করলে, ডিবি পুলিশ তাকেসহ চক্রের ৪ সদস্যকে পাকড়াও করে।
ডিবি প্রধান জানান, ৬ মাসে ৪ গ্রেফতার হলেও, বেরিয়ে এসেই পুরনো নকল মোড়ক প্রিন্টিংয়ের কাজ শুরু করে নবী উল্লাহ।
ভেজাল পণ্যরোধে আদালতসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
অবৈধ কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন হারুণ অর রশীদ।