বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চরম অব্যবস্থাপনা

- আপডেট সময় : ০২:৪৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
- / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
চরম অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়ছে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। এর মধ্যে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে করোনা ওয়ার্ডের অব্যবস্থাপনা। সবকিছু থাকা সত্ত্বেও সংকটের অজুহাতে রোগীদের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। বছরের পর বছর তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার পরীক্ষা-নীরিক্ষার যন্ত্রপাতি। এজন্য জনবল সংকটকে দায়ি করছে সংশ্লিষ্টরা।
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৭টি ওয়ার্ডে মাত্র ৯৮ চিকিৎসক দিয়ে চলছে দুই শতাধিক করোনা আক্রান্তসহ দুই হাজার রোগীর চিকিৎসা সেবা। রোগীদের চিকিৎসা নির্ভর করে ইন্টার্ন ও নার্সদের উপর। এক হাজার শয্যায় উন্নীত হওয়ার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও জনবল রয়ে গেছে অর্ধেক।
কর্মচারি সংকট থাকায় টয়লেট-বাথরুম, অপারেশন থিয়েটার ও চিকিৎসকের কক্ষ নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে না। সংকট রয়েছে টেকনোলজিস্টেরও। দক্ষিণাঞ্চলের ক্যান্সার রোগীদের জন্য কোবাল্ট-৬০, এমআরআই, দুটি সিটিস্ক্যান, এনজিও গ্রাম, দুটি এক্সরে মেশিন দেড় বছরের বেশি সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে।
রোগ নির্নয়ে সব ধরনের যন্ত্রপাতি অচল করে রাখার অভিযোগ করে রোগীর স্বজনরা। অপরিচ্ছন্ন ওয়ার্ডে চলছে করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা। নার্সদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। রোগীদের সাধ্য মতো সেবা দেয়ার দাবি করেন সেবা তত্ত্বাবধায়ক। আর পরিচালক জানান, পাঁচ’শ শয্যার জনবল কাঠামো পূরন করা হলেও সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
পাঁচ’শ শয্যার জনবল অনুযায়ী ৪৭৬ এর জায়গায় আছে মাত্র ৯৮ চিকিৎসক। দুই হাজার নার্স দরকার হলেও আছে ১২’শ জন। ৩৬৫ কর্মচারীর কাজ করছে ২৪০ জন। প্রয়োজন সাড়ে সাত’শ জন।