বন্দরে অবস্থানরত জাহাজে বিদেশী নাগরিকের কারণে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম

- আপডেট সময় : ১১:১১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত ৭১টি জাহাজে দেড় হাজার বিদেশী নাগরিকের কারণে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে গোটা বন্দরনগরী। বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজগুলোকে কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করলেও, সেখানে শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ব্যবসার স্বার্থে ঝুঁকির মধ্যেও প্রতিদিন বিদেশীদের সংস্পর্শ যাচ্ছে এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন নেতারা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, বন্দরের মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক আছেন তারা।
রোববার সকালের পরিসংখ্যন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গোরে অবস্থান করছে ৭১টি জাহাজ। এর মধ্যে ৫০টি এসেছে পণ্য নিয়ে, ১০টি স্ক্র্যাপ আর জ্বালানী সংগ্রহসহ নানান কারনে বাংলাদেশের জলসীমায় রয়েছে আরো ১১টি জাহাজ। মালবাহী এসব জাহাজে সাধারণত ২৫ থেকে ৩৫ জন করে নাবিক অবস্থান করেন। সেই হিসেবে জাহাজগুলোতে অবস্থান করা বিদেশীর সংখ্যা দেড় হাজারের বেশী।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশে যখন বিদেশী নাগরিক প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়েছে, সেখানে অনেকটা অরক্ষিত চট্টগ্রাম বন্দর। যদিও নানান পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে চলাচল করা প্রতিটি বিদেশী জাহাজেরই একটি করে দেশীয় এজেন্ট রয়েছে। জাহাজ মালিকের পক্ষে ওই এজেন্ট প্রতিষ্ঠানকেই জাহাজের দেখভাল করতে হয়। তাই ব্যবসায়ীক স্বার্থেই শিপিং এজেন্টের প্রতিনিধিদের জাহাজে যেতে হয় প্রতিনিয়ত। কিন্তু মাক্স ছাড়া অন্য কোন প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট নেই তাদের কাছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাতা কলমে কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজের নাবিকদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে দায় এড়াতে পারবে না বন্দর, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্টরা।
বিদেশী জাহাজের ক্ষেত্রে ১৬ দিনের আগে জেটিতে ভেড়ার অনুমতি না দেয়ার নীতিগত সিন্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটর, স্ক্রাপ জাহাজের ক্রেতা এমনকি কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জাহাজে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপ নেয়নি চট্টগ্রাম বন্দর।