বনানী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী

- আপডেট সময় : ০৭:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
তিনি ছিলেন, একাধারে প্রকৌশলী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী। স্বাধীনতার পর দেশের প্রতিটি বড় ভৌত অবকাঠামো তৈরির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন এই মহান জ্ঞান তাপস। আর এভাবেই দেশের প্রকৌশল জগতের আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। মঙ্গলবার ভোর রাতে ধানমণ্ডির নিজ বাসায় মারা যান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয় প্রকৌশল বিদ্যার রোল মডেল অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে।
১৯৪২ সালের ১৫ নভেম্বর সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী ৷ পিতা প্রকৌশলী আবিদ রেজা চৌধুরী এবং মাতা হায়াতুন নেছা চৌধুরীর ৫ সন্তানে মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বড় হয়ে তাঁর বাবা ও ভাইদের মতো তিনিও বেছে নেন প্রকৌশল পেশা।
১৯৬৩ সালে তিনি প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগে। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি বুয়েটে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতার পর এ দেশে যত বড় বড় স্থাপনা গড়ে উঠেছে তার প্রায় প্রতিটির সঙ্গেই জামিলুর রেজা চৌধুরী কোনো না কোনোভাবে জড়িত ছিলেন। যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে। হাত দেন পদ্মা সেতু নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞে। এছাড়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ চলমান নানা উন্নয়ন প্রকল্পেও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দলপতি তিনি।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক সম্মাননা লাভ করেন।
মঙ্গলবার ভোর রাতে সেহরির সময় ঢাকা পরও সাড়া দেন না তিনি । পর ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়।সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর। জামিলুর রেজা চৌধুরী সবশেষ এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক সম্মাননা লাভ করেন।