ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালীতে করুণ দশা

- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালীতে এবার করুণ দশা। বাজারে বেচাবিক্রি না থাকায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে চাষীর স্বপ্ন। ফুল বিক্রি করতে না পেরে কেটে ফেলে দিচ্ছেন তারা। আবার কেউ কেউ গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন এসব ফুল। অনেকে আবার কম দামে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে সামান্যকিছু ফুল বিক্রি করছেন।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও পানিসারা ইউনিয়নের মাঠে মাঠে এখন প্রস্ফুটিত গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা ও গাঁদা ফুল। এমন পূর্ণ প্রস্ফুটিত ফুল সাধারণত চোখে পড়ে না। গোলাপ বা জারবেরা তার পাপড়ি পুরোপুরি মেলে ধরার আগেই কেটে বাজারে নেন ফুল চাষিরা। কিন্তু এখন তার ভিন্ন চিত্র। প্রতিদিন যে বাজারে ফুলে ফুলে ভরে থাকতো, সেটি এখন সম্পূর্ণ ফুলশুন্য, বিরাণভূমি। নেই ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থী। ফলে ফুল বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। একারণে, ফুল ক্ষেতেই থেকে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখিন চাষীরা। সরকারের সহায়তার দাবি জানান তারা।
গদখালী ফুলের মোকামে নেই কোনো ক্রেতা। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পাইকাররা আসছেন না। খুব কম দামে ফুল কিনে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করাছেন। আর অবিক্রিত ফুল ফেলে দিচ্ছেন ভাগাড়ে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টানা ছুটির কারণে চরম হুমকির মুখে ফুল খাত। এতে সারা দেশে আড়াই শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হবে। দেড় হাজার কোটি টাকার ফুলের বাজার বাঁচিয়ে রাখতে, প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর সহযোগিতার চেয়েছেন তিনি।
যশোরে ৬ হাজার ফুল চাষি ও এর উপর নির্ভরশীল দেড় লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সারাদেশে ২০ হাজার কৃষক ও ২৫ হাজার পাইকারি বিক্রেতার একই অবস্থা।