পোশাক রপ্তানিতে ইউরোপের বাজারের দিকে ঝুঁকেছে চীন
- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন শুল্ক চাপে পোশাক রপ্তানিতে ইউরোপের বাজারের দিকে ঝুঁকেছে চীন, ভারতসহ বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো। আর তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে গত তিন মাসে ধারাবাহিকভাবে কমেছে ক্রয়াদেশ। এতে বিপাকে পড়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পোশাক কারখানাগুলো। সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৪৮ শতাংশ রপ্তানি হয় ইউরোপে। এ মহাদেশে সবচেয়ে বড় ক্রেতা জার্মানি। এছাড়া রপ্তানির বড় বাজার রয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, সুইডেনসহ ১২টি দেশে। মার্কিন শুল্ক চাপে বাংলাদেশের প্রতিযোগী অধিকাংশ দেশ ইউরোপে ঝুঁকে পড়ায় সেখানে মূল্য নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের।
দরকষাকষির পর বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে মার্কিন শুল্ক হার ২০ শতাংশে নামলে পোশাক শিল্পে কিছুটা স্বস্তি ফিরে। বাড়তি শুল্ক ও মজুরির কারণে চীনের অনেক ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসবে এমন প্রত্যাশাই ছিলো পোশাক শিল্প মালিকদের। তবে মার্কিন অর্থনীতির মন্দাভাবের কারণে সে আশা পূরণ হয়নি। অধিকাংশ আমদানিকারক ও ক্রেতা বাড়তি শুল্কের ভার নিতে রাজি না হওয়ায় সংকটে আছেন রপ্তানিকারককরা। এ অবস্থায় অল্প কয়েকটি দেশ কম মূল্য ক্রয়াদেশ নিলেও চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফসহ বিভিন্ন খাতে খরচ বাড়ায় বিপাকে দেশি রপ্তানিকারকরা।
অর্ডার না থাকায় আর্থিক সংকটে অনেক কারখানা বেতন দিতে না পারলেও ব্যাংক থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে না। সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছ থেকে নীতি সহায়তা ও স্বল্প সুদে ঋণ চান উদ্যোক্তারা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার। অক্টোবর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার।



















