পঞ্চগড়ে কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চা-চাষীরা

- আপডেট সময় : ০২:০১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা-চাষ জেলার কৃষি নির্ভর অর্থনীতি সমৃদ্ধ করলেও কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চা-চাষীরা। শুরুতে স্থানীয় চা কারখানা গুলো প্রতি কেজি চা-পাতা ৪০ টাকা দরে কিনলেও এখন তা নেমে এসেছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়।
সাথে প্রতি ১০০ কেজি পাতার সাথে ২০ কেজি ফ্রি দিতে হয় কোম্পানি গুলোকে। সংশ্লষ্টিরা বলছেন, পঞ্চগড়ে পিছিয়েপড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করা চা শিল্প টিকিয়ে রাখতে চা র্বোড ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।
একবার চা চাষ করে বছরে ছয় থেকে সাত বার পাতা তোলা যায়। কাঁচা পাতা বিক্রি করে অন্য ফসলের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি লাভবান হওয়া যায়। দ্রুত সচ্ছলতা আনতে স্থানীয় প্রান্তিক চাষীরা আখ,পাটের মতো অর্থকরী ফসল বাদ দিয়ে সেই জমিতে লাগিয়েছেন চায়ের চারা।
প্রথম দিকে দাম ভালো পাওয়ায় সন্তুষ্ট ছিলো চাষীরা। চলতি বছরের শুরুতে কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট করে ৪০ টাকা কেজির চা-পাতা ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি নির্ধারণ করে। এতে লোকসান গুণতে শুরু করেন চাষীরা।
চা-চাষীরা বলছেন, নানা অজুহাতে পাতার দাম কমিয়েছেন কারখানা মালিকরা। অথচ কীটনাশক, সার, পাতা উত্তোলন পরিবহন খরচসহ প্রতি কেজি কাঁচা পাতা উৎপাদনে ব্যয়ই হয় ১৪ টাকা।
ভালো পাতা ভালো দাম, এমন কথা সংশ্লষ্টিরা বললেও বাস্তবে ঘটছে তার উল্টো। তাছাড়া স্থানীয় চা বোর্ড ও গুটি কয়েক চাষী ছাড়া অন্য চাষীদের চা বাগান তৈরী, পাতা উত্তোলন, পরিচর্যা বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণ দেন না। এতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে চাষীরা।
চাষীদের অভিযোগ অস্বীকার করে চা বোর্ড কর্মকর্তা বলছেন, চাষীদের প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
চা চাষীদের স্বার্থ যেনো ঠুনকো অজুহাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে কারখানা র্কতৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের র্কাযকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানয়িছেন এ জনপ্রতিনিধি।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, র্কমসংস্থানের দাঁড় খুলে দেয়া চা শিল্প টিকিয়ে রাখতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।