পঞ্চগড়ে এলকোহল কারখানার বর্জ্যের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়

- আপডেট সময় : ০২:১৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ে এলকোহল কারখানার বর্জ্যের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপ থেকে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মিশে যাচ্ছে টিউবওয়েলের লেয়ারে। ফলে, টিউবওয়েলের খাবার পানিতেও দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে, পাইপ ফেটে বর্জ্যের পানি উম্মুক্তভাবে প্রবাহিত হওয়ায় পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। নদীতে বর্জ্য ফেলায় মাছ ও জলজ উদ্ভিদ মারা যাচ্ছে। স্থানীয়দের প্রতিবাদেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।
পঞ্চগড় পৌর এলাকার ধাক্কামাড়ায় ১৯৮০’র দশকে জাজ ডিষ্টিলারিজ নামে একটি কারখানা গড়ে ওঠে। এখানে এলকোহলসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদিত হয়। সেই সময়েই বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য মাটির নিচে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ দিয়ে নালা নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে ওই নালা দিয়ে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার কারখানাটির মালিকানা ও নাম পরিবর্তন হলেও অবকাঠামো একই আছে। বর্তমানে এশিয়া ডিস্টিলারিজ নামে কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছে, দীর্ঘদিন থেকে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নালার সংস্কার না করায় পরিবেশ দুষণের শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বার বার যোগাযোগ করলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যেগ নেয়নি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলেই কারখানা কর্তৃপক্ষ উৎকোচ দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করেন বলে জানান, পঞ্চগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল ইসলাম। কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউই ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি। মোবাইল ফোনে কথা বলেন কারখানার মালিক হাসিবুল ইসলাম বাবলু। এদিকে, কেমিকেল জাতীয় কারখানা থেকে নির্গত যে কোনো দুর্গন্ধই স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান, সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান।
পরিবেশ নষ্টের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শিগগিরি এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশা করে এলাকাবাসী।