পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুভ্রতা ছড়িয়ে দিয়েছে কাঞ্চনজংঘা

- আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুভ্রতা ছড়িয়ে দিয়েছে কাঞ্চনজংঘা। মেঘ আর কুয়াশা না থাকলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা মিলছে ভারতের এই পাহাড়ের। কাঞ্চনজংঘা দেখার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটক ছুটে আসছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে পর্যটন পুলিশ।
দীর্ঘকাল ধরে দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ সকালে এককাপ চায়ের উষ্ণতা নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করে আসছে। শরৎ, হেমন্ত আর শীতকালেই দেখা মেলে এই মহাশুভ্র পাহাড়ের। কখনো লুকিয়ে পড়ে মেঘের আচলে। মেঘ সরে গেলে আবার জেগে ওঠে সে।
এই লুকোচুরির খেলায় দর্শকও যোগ দেয়। চোখের পলক পড়েনা তাদের। পর্যটকরা বলছেন, দেশের মাটিতে বসে কাঞ্চনজংঘা উপভোগ একটি অন্যরকম অনুভূতি। ভোর বেলা থেকেই দেখা যায় তাকে। এরপর সারাদিনে নানা রং ধারণ করে। কখনো টকটকে লাল, কখনো শুভ্র আর সাদা।
এমন মায়াময় দৃশ্য দেখতে হাজারো পর্যটক ভির করছেন তেঁতুলিয়ায়। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর আছেন বলে জানায় পর্যটন পুলিশ। পৃথিবীর সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় ট্যাংক বলা হয় কাঞ্চনজংঘাকে। হিমালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম শৃংগ। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শৃংগ মাউন্ট এভারেষ্ট থেকে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ১২৫ কিলোমিটার দুরে এর অবস্থান। বরফের এই পাহাড় থেকে নেমে এসেছে চারটি নদী। এই নদীগুলোর জলের ধারা এসেছে পঞ্চগড়েও।
তবে সবসময় দেখা মেলে না এই পাহাড়ের। এ জন্য অনেকে বলে থাকেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য কপালও লাগে। পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয়ের কন্যা। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব একশ পঁচিশ কিলোমিটার।