সিলেটের কানাইঘাট উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করেছে সুরমা নদী। স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরেও স্থানীয় ১নম্বর লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নসহ আশপাশের ২০ গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে নেই সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। জেলা শহর কিংবা শিক্ষা, চিকিৎসায় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নবাসীর দাবি করে আসলেও আলোর মুখ দেখেনি তা

বর্ষা মৌসুমে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে প্রবল স্রোতের মধ্যে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে থাকেন। তাছাড়া নৌকা ডুবির ঘটনা তো হরহামেশাই হচ্ছে। স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নৌকাডুবিতে প্রতিনিয়তই নষ্ট করছে বইখাতা। এ কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছেন। মমতাজগঞ্জে সুরমা নদীর ওপর একটি সেতু হলে পাল্টে যাবে লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্মার্ট বাংলাদেশের এ সময়ে একটি উপজেলার মানুষ দ্বীপের মতো বসবাস করছেন, যা কাম্য নয়। মমতাজগঞ্জে সেতুর জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েও পাশ হওয়ার পর দীর্ঘদিনেও টেন্ডার না হওয়া রহস্যজনক।

এলজিইডি বলছে, মমতাজগঞ্জে সেতু বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে সয়েল টেস্টসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মমতাজগঞ্জে সুরমা নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলে সাধারণ মানুষের জীবনে বৈপ্লবিক উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বাড়বে- এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।