নামে আছে, কাজে নেই -এ হলো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অবস্থা

- আপডেট সময় : ০৭:১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৭৫ বার পড়া হয়েছে
নামে আছে, কাজে নেই– এ হলো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অবস্থা। ১ম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও রাস্তা-ঘাটসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলো সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ভাঙ্গাচোরা ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। তবে পৌর মেয়রের দাবি- দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।
৭৫ বছরের পুরনো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। ১৯৯৫ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পায়। ৩৭.৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পৌরসভায় ওয়ার্ড রয়েছে ৯টি। জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। মোট রাস্তা ২৬৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা রাস্তা রয়েছে ১১৯ কিলোমিটার। পৌরসভার ১৫টি প্রধান সড়কসহ পাড়া-মহল্লায় আরো ৫০টি সড়ক আছে। এগুলোর অধিকাংশ পিচ কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। হাসপাতাল সড়ক, কোর্ট পাড়া, একাডেমি মোড়, কাটপট্টি, হাজরাহাটি, সাতগাড়ী, কুলচারা, জোয়াদ্দারপাড়াসহ বিভিন্ন মহল্লার রাস্তাগুলোর বেহাল দশায় এখন। এসব রাস্তার কোন-কোনটি ১০/১৫ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি। খানাখন্দে ভরা এ সড়কগুলো একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। অনেক সময় যানবাহন ভেঙ্গে দূর্ঘটনার মুখে শিকার হন পথচারীরা। আর বৃষ্টি হলে জনদূভোগের মাত্রা বাড়ে কয়েকগুণ।
পৌর এলাকার অনেক পাড়া মহল্লায় নেই ড্রেন। আবার ড্রেন থাকলেও নেই ঢাকনা।এসব কারণে পানি নিস্কাশন হয় না। যে সব এলাকায় ড্রেন আছে তাও ভাঙ্গা। যে টুকু ভালো আছে তা পরিস্কারের অভাবে ময়লা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবাহ।
আয়তনের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা চুয়াডাঙ্গা। বেশিরভাগ এলাকায় দরিদ্র পীড়িত মানুষের বসবাস। ফলে কর আদায়ের হারও খুব কম। এই সামান্য অর্থ দিয়ে বৃহৎ এলাকার উন্নয়ন করা দুঃসাধ্য। সেই কারণে পৌরবাসী দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন তিনি বেল স্বীকার করেন পৌরমেয়র। অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা-ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।