কক্সবাজারে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজে আশানুরূপ বুকিং হয়নি

- আপডেট সময় : ০৩:২৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৫৮ বার পড়া হয়েছে
ইংরেজী পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে প্রতিবছর কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ঢল নামে। তবে এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইটে সরকারি নির্দেশনায় সৈকতে কোনো আয়োজন না থাকাসহ বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার কারণে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজে আশানুরূপ বুকিং হয়নি। ফলে কিছুটা হতাশ পর্যটন উদ্যোক্তারা। তারপরও পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর পর্যটকদের সুবিধা নিশ্চিতে ৭ দফা বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছেদ্য সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যেখানে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে নীল জলরাশির সাগর পাড়ে ছুটে আসেন দেশী-বিদেশী লাখো পর্যটক।
তবে এবার নেতিবাচক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেলগুলোতে রুম বুকিং হয়েছে ৬০ শতাংশ। ফলে বিগত বছরগুলোর তূলনায় অনেক কম পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতি বছর ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হতো সব হোটেল-মোটেল। কিন্তু এ বছর তা চোখে পড়ছে না। সন্তোষজনক নয়, হোটেল-মোটেলের রুম বুকিংও।
এদিকে নতুন বছরে সুন্দর এবং নিরাপদ একটি পর্যটন নগরী প্রত্যাশার কথা জানান পর্যটকরা। বিদেশী পর্যটকরাও জানালেন, নিজেদের ভাললাগা অনুভূতির কথা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, সৈকতসহ সবখানে চার স্থরের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন এবং পাথুরে সৈকত ইনানীসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলোতেও থাকবে কড়া পুলিশী নিরাপত্তা।
আর জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, সকল স্তরের পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সবার সিদ্ধান্তক্রমে পর্যটকদের সুবিধা নিশ্চিতে ৭ দফা বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট। করোনা পরিস্থিতি ছাড়া বিগত বছরগুলোর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকের আগমন ঘটতো ১০ লাখেরও বেশি।