নতুন প্রজন্মের কাছে পনের আগস্টের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে কাজ করবে কমিশন

- আপডেট সময় : ০৩:১৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
- / ১৬০৪ বার পড়া হয়েছে
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, ১৫ আগস্টের সত্যিকারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই কাজ করবে কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তাদের কার্যক্রম শুরু হবে। স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে গঠিত হতে যাওয়া কমিশন সম্পর্কে এভাবেই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসএ টিভিকে তিনি আরো বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না করায় প্রমাণ হয়েছে, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। হায়েনার হিংস্রতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। খুনিদের পৈশাচিকতা থেকে বাদ পড়েনি ১১ বছরের ছোট্ট শিশু রাসেল।
ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ওই হত্যার ৩৪ বছর পর আইনের সব বিধান মেনেই ফারুকসহ ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর করে সরকার। জিম্বাবুয়ে পলাতক অবস্থায় মারা যায় আজিজ পাশা। মুজিব বর্ষে কার্যকর হয় আরেক খুনি মাজেদের ফাঁসি।
মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয় বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি রাশেদ চৌধুরী। একই অবস্থা কানাডায় পালিয়ে থাকা আরেক খুনি নূর চৌধুরীর। তবে ডালিম মোসলেম ও আব্দুর রশিদরা কে কোথায় আছে তা নিশ্চিত নয় সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে পলাতক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফেরাতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
১৫ আগস্টের নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের সবশেষ পরিস্থিতিও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, খুনীদের বিচার না করে পুরস্কৃত করার মাধ্যমেই জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনিও ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত।
পলাতক খুনীদের দেশে ফেরাতে আশ্রয় দানকারি দেশগুলোর সংবিধান বড় বাধা বলেও মন্তব্য করেন আনিসুল হক।