ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর প্রস্তাব

- আপডেট সময় : ০২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয়েছে। চূড়ান্ত খসড়ায় ভেপিং বা ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। অংশীজনদের মতামত ছাড়া আইনের সংশোধনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। আর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ধূমপান নিরোধক পণ্যগুলোর ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রাণঘাতি এক নেশার নাম ধূমপান। প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে।
অন্যদিকে তামাকের এই নেশা থেকে বাঁচতে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভেপিং বা ই সিগারেট। যার নেপথ্যে রয়েছে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক প্রতিবেদন। যেখানে বলা হয় ভেপিং ধূমপানের চেয়ে ৯৫ ভাগ কম ক্ষতিকর।
২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আইন সংশোধনের। চূড়ান্ত হওয়া খসড়ায়, ই-সিগারেট নিষিদ্ধের পাশাপাশি তামাকজাত পন্য বিক্রিতে লাইসেন্স বাধ্যতামূক করার সুপারিশ করেছে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলে জীবন ও জীবিকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিন্ম আয়ের ১৫ লাখ মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায়, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে ভেপিং নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি রয়েছে বলে মনে করেন আমদানিকারকরা।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া আইন সংশোধনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এব্যাপারে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলতে রাজি নন কেউই।