দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধিতে অনাহারে-অর্ধাহারে পুষ্টিহীনতায় নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ

- আপডেট সময় : ০৮:০০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
- / ১৬৩২ বার পড়া হয়েছে
বাজারে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির কষাঘাতে অনাহারে-অর্ধাহারে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। বাজারে অধিকাংশ সবজির কেজি ১শ’ টাকা। ২০ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কাঁচামরিচের দাম কমলেও এখনো তার কেজি সাড়ে ৩শ’ টাকার উপরে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে মাছ-মাংস অনেক আগেই সাধারণ ক্রেতাদের সামর্থের বাইরে চলে গেছে। আদা-রসুনের দামও বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সরকারকে শুধু বিরোধী দল ও নির্বাচনের দিকেই নয়– জনগণ ও বাজারের দিকেও নজর রাখার দাবি সাধারণ মানুষের।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাসে রয়েছে সাধারণ মানুষ। বাজারে দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। আয়ের সাথে ব্যয় সামাল দিতে না পেরে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা।
পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানী উন্মুক্ত করা হলেও এখনো দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরেই। রসুনের দাম কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২২০ টাকা। আর আদার দাম দ্বিগুণ বেড়ে উঠেছে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজিতে।
চালের দাম অপরিবর্তিত। তবে উর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ খাচ্ছেন কম। বাড়তি দামের কারণে চাল-আটার চাহিদা আগের তুলনায় কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। দাম বাড়ায় পুষ্টির প্রধান উৎস- মাছ-মাংশের চাহিদাও কমে যাচ্ছে। এদিকে ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।
ভারত থেকে আমদানির পরও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজিতে। বাড়তি দামের কারণে ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় কেনা অর্ধেক কমিয়ে দেয়ায় এখন কাঁচামরিচ পচে যাচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
এদিকে, ৮০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। বেশিরভাগ সবজির কেজিই ১শ’ টাকায় ওঠায় মূল্যবৃদ্ধির যাঁতাকলে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের।
সাধারণ ক্রেতাদের দাবি, সরকার শুধু নির্বাচনের দিকে মনোযোগী না হয়ে, বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে আগে সবার খাদ্য-পুষ্টি নিশ্চিতের ব্যবস্থা করুক।