দুর্মূল্যের বাজারে মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করে দেড় লাখ চা শ্রমিক

- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
- / ১৫৮৯ বার পড়া হয়েছে
শ্রমবাজারে দৈনিক ৫ থেকে ৭শ টাকার কমে শ্রমিক পাওয়া না গেলেও, বিস্ময়করভাবে চা শ্রমিকরা দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছে। দুর্মূল্যের বাজারে এতো কম মজুরিতে কাজ করা শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। অভাব অনটনে নিদারুন কষ্টের কথা স্বীকার করে শ্রমিক নেতারা বলছেন, মজুরি বৃদ্ধির চুক্তি মালিকরা মানছে না। তবে বাগান কর্তৃপক্ষ বলছেন, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি তারাও কাজ করছেন।
দেশের অর্থনীতির চাকা স্বচল রাখতে নিজের শ্রমঘাম দিয়ে চা উৎপাদনে নিরলসভাবে কাজ করছে চা শ্রমিকরা। ১৬৭টি বাগানে কাজ করছে দেড় লাখের বেশি চা শ্রমিক। তারা দৈনিক মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান ।
বাজারে যেখানে ৫শ থেকে ৭শ টাকার নিচে শ্রমিক মেলে না; সেখানে এতো কম মজুরিতে কাজ করে, পরিবার নিয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন তারা। শ্রমিকরা জানান, দৈনিক ১২০ টাকা হিসেবে সপ্তাহে ৭৪০ টাকা মজুরির পেলেও, ১৪০ টাকা শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডের চাঁদা কেটে তারা পান মাত্র ৬শ টাকা। এ টাকায় চলছে না সংসার।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ১০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা করা হয়। অথচ এর মধ্যে কয়েকগুণ বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রির দাম।এমন অবস্থায় শ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সব কিছুর দাম।
১২০ টাকা মজুরি হলেও, এর সঙ্গে বসবাসের ঘর, চিকিৎসা, রেশন, জ্বালানি সংযুক্ত করলে দৈনিক মজুরি দাঁড়ায় সাড়ে ৩শ টাকা। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বাগান মালিকরাও কাজ করছেন।
দ্রুত চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়বে—তাদের অভাব অনটন ঘুচবে, এমন প্রত্যাশা সকলের।