দিনাজপুরের ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা ট্র্যাজেডীর ২৭ বছর আজ
- আপডেট সময় : ০৭:১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
- / ২২৫৬ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরের ইয়াসমিন হত্যা ট্র্যাজেডীর ২৭ বছর আজ। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদের প্রতীক হিসাবে দিনটিকে জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন করে নারী নির্যাতন বন্ধ সম্ভব নয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ নারীনেত্রী থেকে শুরু করে সচেতন মহলের।
১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরের দশমতলায় ধর্ষণের পর খুন হন ১৪ বছর বয়সী ইয়াসমিন। পুলিশের জঘন্য এই কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সেদিন ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় জনতা। দিনাজপুরের সব শ্রেনীপেশার মানুষের জড়ো হলে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন ৭ জন।
২০০৪ সালে হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন পুলিশ সদস্যের ফাঁসি কার্যকর হয়। ৭ জন নিহতের মামলার আসামী তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা বাতিলের আবেদন করলে উচ্চ আদালতের উপর স্থগিতাদেশ দেন। ২৭ বছরেও এর সুরাহা হয়নি।
ইয়াসমিনের আত্মাহুতিও কমাতে পারেনি দিনাজপুরে নারী নির্যাতনের চিত্র। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবী, গেলো ৫ বছরে গড়ে প্রতি মাসে দিনাজপুরে ৪০৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
নারীরা অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও বদলায়নি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ নারী নেত্রীদের।
এদিকে আইন করে নারী নির্যাতন বন্ধ সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন বর্তমান এমপির। তাগিদ দিলেন, কার্যকরী সামাজিক আন্দোলনের।
দিনটিকে সারাদেশে এই “নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস” হিসেবে পালিত হচ্ছে।





















