দখল আর দূষণে অস্বিত্ব সংকটে মাদারীপুরের বরিশাল খাল

- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
দখল আর দূষণে অস্বিত্ব সংকটে পড়েছে মাদারীপুরের ‘বরিশাল খাল’। দুই যুগ আগেও এ খাল দিয়ে চলাচল করতো ছোটবড় অসংখ্য নৌযান। আর এখন পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে দুর্গন্ধের ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে এটি। বৃষ্টিতে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়া খালের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে খনন শুরু করেছে মাদারীপুর পৌরসভা। এতে খুশি এলাবাবাসী।
দেখে মনে হতে পারে, এ যেন কোন এক ময়লার ভাগাড়। কচুরিপনা আর আবর্জনায় বন্ধ পানি প্রবাহ। এটিই এক সময়ের ব্যস্ততম মাদারীপুরের ‘বরিশাল খাল’-এর চিত্র। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে শহর থেকে সরাসরি নৌপথে বরিশাল যাতায়াত করতে হতো স্থানীয়দের।
এজন্য এটির নাম হয় ‘বরিশাল খাল। কিন্তু ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি দখল আর দুষণে ভরাট হয়ে গেছে বেশিরভাগ অংশ। যাও আছে, তাও আশপাশের লোকজন ময়লা আর আবর্জনা ফেলায় ছড়াচ্ছে দুর্গদ্ধ, বাড়ছে রোগবালাই। পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় একটু বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
২০১৯ সালে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক বিভাগ ও এলজিডিই’র যৌথ উদ্যোগে খালের দুপাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা, কচুরীপানাও পরিস্কার করা হয়। সেসময়ে খালটি খনের উদ্যোগ নেয়া হলেও অদৃশ্য কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। পৌরসভার উদ্যোগে এটি খননে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিক পর্যায়ে মাদারীপুর পৌরসভার আওতাধীন খালটির অংশ খনন করতে ব্যয় ধরা হয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আগামীতেও খালের দুইপাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি, খালের মধ্যে যারা ময়লা ফেলবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা কথা বলছে পৌর কর্তৃপক্ষ।