তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা শোনা গেলেও বছরের পর বছর ধরে তা ঝুলে আছে

- আপডেট সময় : ০৩:০৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৫২ বার পড়া হয়েছে
তিস্তা নদী দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে কম পানি আর বর্ষাকালে বেশি পানি আসায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি, পরিবেশ এবং অর্থনীতি সমস্যায় পড়েছে। তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা শোনা গেলেও বছরের পর বছর ধরে তা ঝুলে আছে।
বৃহস্পতিবার একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী সপ্তম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, পানি ও নদীশাসন, আঞ্চলিক বিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে জনগণের অধিকারকে প্রভাবিত করেছে। তাই টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের মাধ্যমে নদীকে রক্ষা করা জরুরি। সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তিস্তা রক্ষায় ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশকে একত্রে কাজ করতে হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তিস্তার ওপরে ৩১টি ড্যাম তৈরি হয়েছে, যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তিস্তাপারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী। তারা বলছে, এগুলো শুধু নদীর বুকে পলি জমাচ্ছে আর জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে, তা নয়। এর মাধ্যমে তিস্তার পানি ও পার্শ্ববর্তী ভূমিতে স্থানীয়রা অধিকার হারাচ্ছে। ফলে তিস্তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, তা ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যাও বটে।