জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড়বছর ধরে সেচ প্রকল্প চালালেও কোনো সুফল পাননি স্থানীয়রা

- আপডেট সময় : ০২:০১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
- / ১৬১৮ বার পড়া হয়েছে
ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড়বছর ধরে সেচ প্রকল্প চালালেও কোনো সুফল পাননি স্থানীয়রা। এখনো পানির নিচে হাজার হাজার হেক্টর আবাদী জমি। এতে চরম দুঃখকষ্টে জীবনযাপন করছে যশোরের মণিরামপুর ও অভয়নগরের লাখো মানুষ। ভুক্তভোগীদের দাবি, জলাবদ্ধতাকে পুঁজি করে অসাদু চক্রের পকেট ভারি হচ্ছে। অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পাইলট প্রকল্প সফল। চুড়ান্ত সফলতা পেতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু পাম্প কিনে সেচ কাজে গতি আনা হবে।
যশোরের ২৭ বিলের পানি মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরিহর নদী হয়ে সমুদ্রে যায়। নদীতে পলি জমতে শুরু করায় ৮০’র দশকে মণিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্বতা। ২০০৬ সালে তা মারত্মক রুপ ধারণ করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে এ অঞ্চলে আবাদ হয় না।
জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী খননসহ নানা উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। গত বছরের শুরুতে নতুন করে শ্রী নদের ভবদহ স্লুইস গেটের উপর পাম্প মেশিন বসিয়ে সেচের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দেড় বছর ধরে সেচ চালালেও কোন সুফল মেলেনি বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড় বছর ধরে ভবদহ স্লুইস গেটের উপর ১৯টি পাম্প দিয়ে দিনে ১৬ ঘন্টা করে সেচ চালানো হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, জলাবদ্ধতা পুঁজি করে অসাদু চক্রের পকেট ভারি করছে। অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎসহ সরকারের অর্থ।
অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, পাইলট প্রকল্প সফল হয়েছে। চুড়ান্ত সফলতা পেতে উচ্ছ ক্ষমতাসম্পন্ন আরো কিছু পাম্প কিনে সেচের গতি আনতে হবে।
মণিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলার ২৫ হাজার হেক্টর আবাদী জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে।