আজ সূর্যের দেখা পাওয়ায় কুয়াশার প্রকোপ কিছুটা কমে এসেছে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের নদনদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে। এদিকে, শীত বেড়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ।

উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘনকুয়াশায় পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। আবহাওয়া অফিস জানায়, পঞ্চগড়ে আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। উত্তরাঞ্চলের আরেকটি জেলা দিনাজপুরে শীতে চরম বিপাকে পড়েছে দিন মজুরেরা। সারাদির অপেক্ষার পরও মিলছে না কাজের সন্ধান। স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় কমছে কুয়াশা। তবে বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা।

ময়মনসিংহে টানা কয়েকদিনের শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশায় অন্ধকার হয়ে আছে পুরো জেলা। ফলে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানিকগঞ্জে।। তীব্র বাতাস ও শীতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি ও কাশিসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশার মাত্রা কমলেও শীত কমেনি।

শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রামে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। দিনে শীত কম অনুভূত হলেও রাতের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশা চোখে পড়ছে। জেলায় রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

নেত্রকোনায় প্রচন্ড শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এতে বিপাকে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠান্ডায় হাওড়ে কাজে যেতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষ।

অতি ঠাণ্ডায় দেশের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে শীতজনিত রোগ। গোপালগঞ্জে রোববার সূর্যের মুখ দেখা মিললেও হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় রয়েছে শীতের তীব্রতা। ভোরে কুয়াশা পড়ায় ও হিমেল হওয়ার কারনে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে জেলার ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালগুলো ছুটছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। সাতক্ষীরায় শীতের কারণে সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বেশি ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

নড়াইলে কনকনে শীতে মানুষের পাশাপাশি কষ্ট বেড়েছে গৃহপালিত গরু, ছাগলসহ সব ধরনের পশুর। অনেকেই গরু ছাগলকে চটের বস্তা দিয়ে শীত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।