চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাত্রা বাড়ছে

- আপডেট সময় : ০২:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাত্রা বাড়ছে। ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিনভর চেষ্টা চালিয়েও মানাতে পারছেন না আচরণবিধি। রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন, ১০ দিনে ৩৭টি ঘটনায় আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীসহ ৩০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক করাসহ জরিমানা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে আচরণবিধি নিয়ে সচেতনতা না থাকায়, এই অবস্থা তৈরি হয়েছে, বলছেন বিশ্লেষকরা।
৯ মার্চ প্রতিক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামেন, ৭ জন মেয়র, ১৬১ জন কাউন্সিলর আর ৫৬ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী। শুরুতে সৌহার্দ্য থাকলেও দিন দিন সংঘাতময় হয়ে উঠছে প্রচারনা। সেই সঙ্গে বাড়ছে আচরণবিধি না মানার প্রবণতা। ফুটেজ-১
প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে দিনভর মাঠে থাকছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে ১৪টি মোবাইল কোর্ট। তারপরও কিছুতেই বাগে আসছেন না প্রার্থীরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, এখন পর্যন্ত ৩৭ টি ঘটনায় একজন মেয়র প্রার্থীসহ ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে জরিমানা, ৩০ জনকে লিখিতভাবে সতর্ক করাসহ মৌখিকভাবে সকর্ত করা হয়েছে অন্তত একশো প্রার্থীকে। তিনি দাবি করেন, ক্রমেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা কমছে।
আর বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে আচরণবিধির সচেতনতা তৈরী না হওয়ায়, আইন লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্মিতভাবে কাজ করতে হবে প্রার্থীদেরও।
প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত বড় সাইজের পোস্টার সাটানো, দলীয় নেতাদের ছবি সংযুক্ত করা, প্লাস্টিকের ব্যানার ব্যবহার, প্রতিপক্ষের পোস্টার ছিড়ে ফেলার মতো আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগই বেশী। এর বাইরে ৫টি ওয়ার্ডে এক ডজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগও আছে।