চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়ন দিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ

- আপডেট সময় : ১১:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়ন দিয়ে বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। মেয়র পদে বিরোধ না বাধলেও কাউন্সিলর পদ নিয়ে নগর থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় উঠেছে বিদ্রোহের সুর। প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার আশংকার মধ্যেই মনোনয়ন বঞ্চিত ১৪ জন বর্তমান কাউন্সিলরের মধ্যে ১২ জনই যে কোন মুল্যে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও নেতাদের প্রত্যাশা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা না থাকায়, কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত রাখা উচিত।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। মেয়র প্রার্থীকে জেতাতে সবাই ঐক্যমত্য হলেও কাউন্সিলর পদগুলো নিয়ে বেধেছে বিপত্তি। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন না করাসহ প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগও আছে ক্ষমতাসীন দলের প্রাথীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনসহ সোচ্চার অবস্থান নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। ফুটেজ-১
নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্যে অন্তত ১৪ জন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনই বিদ্রোহী হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাই মেয়র পদে নিশ্চিন্ত থাকলেও কাউন্সিলর পদ নিয়ে মোটেই স্বস্তিতে নেই ক্ষমতাসীন দলটি।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আশা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিরোধ মিটে দলীয় প্রার্থীর পক্ষেই অবস্থান নেবেন সবাই।না হলে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আওয়ামী লীগ। সেটাফ
আর বিশ্লেষকরা বলছেন, মেয়র পদে দলীয় প্রতিকে ভোট হলেও কাউন্সিলরা অংশ নেবেন স্বতন্ত্র প্রতিকে। তাই মেয়র পদে মনোনয়ন দিলেও কাউন্সিলর পদটি উন্মুক্ত রাখলে এই সংকট মোকাবিলা করতে হতো না। আওয়ামীলীগ ও অংসংগঠনগুলোর ওয়ার্ড পর্যায়ের অধিকাংশ কমিটিই মেয়াদ উত্তির্ণ। তাই দলের নির্দেশনা কতটুকু কার্যকর করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-৪