চট্টগ্রাম বন্দরে অফডকে ডেলিভারী দিতে এনবিআরের নির্দেশনা

- আপডেট সময় : ০৯:০৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
ঈদ ছুটি আর চলমান কঠোর বিধিনিষেধের প্রভাবে ভয়াবহ জটের মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। সংকট এড়াতে সব ধরনের আমদানী পণ্য বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডকে নিয়ে ডেলিভারী দিতে বন্দরকে নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর। তবে অফডক কর্তৃপক্ষ বলছে,পণ্য ডেলিভেরিতে তাদের সহযোগিতা পেতে হলে ডিপোতে জমে থাকা রপ্তানী পণ্য জাহাজীকরণে এগিয়ে আসতে হবে বন্দরকে। আর ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, এনবিআর আর বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে খরচ বাড়বে আমদানীকারকদের।
স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক অন্তত চার থেকে সাড়ে চার হাজার পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারী হতো চট্টগ্রাম বন্দরের ৪টি গেইট দিয়ে। ঈদের দিন যার পরিমাণ নেমে এসেছিলো একশোর ঘরে। পরের চার দিনে কিছুটা বাড়লেও এখনো হজারের ঘর পার হয়নি । তাই প্রতিদিন কমপক্ষে তিন হাজার আমদানী পণ্যবাহী কন্টেইনার জমছে বন্দরের ইয়ার্ড গুলোতে।
৪৯ হাজার টিউস কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বন্দর ইয়ার্ডে এখন কন্টেইনারের পরিমাণ ৪৫ হাজার টিউসের কাছাকাছি। তাই আর দু’দিনের চাপও সামলানোর ক্ষমতা নেই দেশের প্রধান এই বন্দরের। এই বাস্তবতায় এনবিআর থেকে ১৯টি অফডককে ব্যবহার করার অনুমতি নিয়েছে বন্দর।
আর অফডক কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭৮ হাজার টিউস কন্টেইনার হ্যান্ডেল করার সক্ষমতার বিপরীতে ৫৪ হাজার টিউস কন্টেইনারের জট আছে অফডকগুলোতে। তাই রপ্তানীমুখী কন্টেইনারগুলো জাহাজীকরণে এগিয়ে আসতে হবে বন্দরকে। একই সাথে কাস্টমস আর স্ক্যানিং বিভাগকেও গতিশীল করতে হবে।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তে সাময়িক সুফল এলেও দীর্ঘ মেয়াদে কোন লাভ হবে না। সেটাফ
এবার অফডকগুলোতে জট থাকায় আমদানীকারকদের পণ্য ডেলিভারি নিতে উৎসাহিত না করলে সংকট বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।